মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

ইমান সব ইবাদতের বুনিয়াদ

মাওলানা মুহম্মদ জিয়াউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইমান ইসলামের সব ধরনের ইবাদত ও নেক আমলের বুনিয়াদ। শাব্দিক দিক থেকে ইমান শব্দটি বিশ্বাস স্থাপন করা, আনুগত্য স্বীকার করা, নির্ভর করা ও অবনত হওয়া ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। ইমান শব্দটির যথার্থ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইমাম গাজ্জালি (রহ.)। তিনি বলেছেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু নিয়ে এসেছেন তার সবকিছুর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করাকে ইমান বলা যায়। ইমানকে বলা হয় ইসলামের মূল ভিত্তি। মূলত সাতটি বিষয়কে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে মুখে বলাকে ইমান আনা বলে। সাতটি বিষয় হচ্ছে- ১. আল্লাহ ২. আল্লাহর তৈরি ফেরেশতা ৩. আল্লাহর পাঠানো কিতাব ৪. রসুল ৫. পরকাল, ৬. আল্লাহর পক্ষ থেকে ভালো-মন্দ তাকদির এবং ৭. মৃত্যুর পর আবার জীবিত হওয়ার বিষয়ে বিশ্বাস রাখা। সাধারণভাবে ইমান বলতে আমরা বুঝি কালিমা তাইয়েবা ও কালিমায় শাহাদাতকে অন্তর দিয়ে মেনে নিয়ে মুখে উচ্চারণ ও কর্মে বাস্তবায়ন করা। এ দুটি কালিমায় আল্লাহকে একক সত্তা হিসেবে মেনে নেওয়ার এবং মুহাম্মদকে রসুল হিসেবে গ্রহণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। এটি পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইমান ছাড়া কোনো ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয়, কোনো নেকি কবুল হওয়ার নয় এবং পরকালে নাজাত পাওয়াও সম্ভব নয়। যে কোনো আমল দেখতে যতই নেক মনে হোক না কেন, যদি সংশ্লিষ্ট বান্দার ইমান না থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে তা মূল্যহীন। যারা ইমানদার পবিত্র কোরআনে তাদের সফলকাম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ করে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে, আর আমি তাদের যে জীবিকা দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে এবং আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে ও আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তাতে যারা বিশ্বাস করে এবং পরকালে যারা দৃঢ় বিশ্বাসী তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।’ বাকারা : ৩-৫।

নিজেদের ইমানদার হিসেবে প্রমাণ করতে হলে সালাত কায়েম এবং আল্লাহ ও তার রসুলের নির্দেশিত পথে চলতে হবে।  ইমানদার হওয়া ছাড়া বান্দার কোনো ইবাদত যেহেতু আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয় সেহেতু ইমানের ক্ষেত্রে অটল থাকতে হবে।

                লেখক : ইসলামী গবেষক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর