শিরোনাম
বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সালাম আদান প্রদান শরিয়তের সর্বপ্রথম নির্দেশ

মাওলানা মাহ্মূদুল হাসান

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত আদম আলাইহিস সাল্লামকে সৃষ্টি করে তার মধ্যে রূহ প্রদান করার পর যখন আদম আলাইহিস সাল্লাম দাঁড়িয়ে গেলেন, তখন আল্লাহপাক ফেরেশতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে আদম আলাইহিস সাল্লামকে বলেছিলেন, তোমার সামনে যারা বসা আছে, তারা হলো ফেরেশতা, তাদের সালাম কর এবং সালামের জবাবে তারা কী বলে, তা আমাকে শোনাবে। তখন হজরত আদম আলাইহিস সাল্লাম ফেরেশতাদের লক্ষ্য করে বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম’ জবাবে ফেরেশতারা বলেছিলেন, ওয়ালাইকুমুসসালাম, কিংবা আসসালামু আলাইকুম। তারপর আল্লাহপাক জিজ্ঞাসা করলেন, হে আদম! ফেরেশতারা তোমার সালামের জবাবে কী বলেছে? হজরত আদম আলাইহিস সাল্লাম জবাব শোনালেন। আল্লাহপাক বললেন, যেই দ্বীন ইসলামের জন্য আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি, পৃথিবী সৃষ্টি করেছি, জান্নাত সৃষ্টি করেছি, সেই দ্বীন ধর্মের পরিবর্তন-পরিবর্ধন হবে; কিন্তু এটা এমন একটি আমল দিলাম, এটা যদি তোমার সন্তানদের মধ্যে সহিশুদ্ধভাবে চালু থাকে তাহলে তার মধ্যে ইমান আসবে, মৃত্যু পর্যন্ত তার মধ্যে ইমান অবশিষ্ট থাকবে, কবর হাশরে শান্তি পাবে, অবশেষে আমি তাকে সালাম করে জান্নাতে নিয়ে যাব। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছেন, হে নবী! তোমার উম্মতের মধ্যে যদি সহিহ সালাম অধিক হারে চালু থাকে, তাহলে তাদের ইমানি মৃত্যু ও জান্নাত লাভ অতি সহজ হবে। জান্নাত লাভের জন্য এটা অতি উন্নত ও অন্যতম আমল। সমাজে বিশুদ্ধ সালাম চালু করা আমাদের সবার কর্তব্য হওয়া উচিত। আমরা নবীর সুন্নতকে নষ্ট করে দিয়েছি। আল্লাহর রসূলের একটি সুন্নতকে ঠিক রাখতে পারিনি। আমরা তাঁর উম্মত হওয়ার দাবি করি কীভাবে? সালামের মতো একটি সুন্নতকেও আমরা সবাই মিলে বিনষ্ট করে দিয়েছি বললে ভুল হবে না। বর্তমানে সালাম হয়ে গেছে এক প্রকার আনুষ্ঠানিকতা। আল্লাহপাক আমাদেরকে সালামের মতো ছোট আমলটি এ জন্য দিয়েছিলেন যে, আমরা হলাম তাঁর প্রিয় নবীর প্রিয় উম্মত! আমাদেরকে বড় কঠিন কোনো আমল দিলে পারব না, তাই রাস্তাঘাটে চলার সময় এ আমলটি যেন সহজেই করতে পারি। আল্লাহ আমাদের তাঁর দেওয়া আমল পালনের তওফিক দান কারুন। আমিন।

লেখক : খতিব, গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ।

সর্বশেষ খবর