নির্বাচন কমিশন পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। নির্দলীয় বা স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগও উম্মুক্ত রাখা হয়েছে। পৌর নির্বাচনে দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন এবং দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকায় এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের শক্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দল মেয়র পদে দলীয়ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবে। নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন না থাকায় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পৌর নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। বৈধ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর। ভোট হবে ৩০ ডিসেম্বর। ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৫৮২টি। সম্ভাব্য ভোটকক্ষ ১৯ হাজার ১৮৭টি। ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৬ ভোটার ৩০ ডিসেম্বরের পৌর নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। যাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৬ এবং নারী ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০ জন। ভোটাররা মেয়র পদে ২৩৪, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৩৮ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৯৫২ জন প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবেন। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা থাকছেন মোট ৬১ হাজার ১৪৩ জন। এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকবেন ৪১ জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ৬০ জন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ১৩৩ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ছাড়া সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়ায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করাকে তারা কর্তব্য হিসেবে বেছে নেবেন- আমরা এমনটিই দেখতে চাই।