শিরোনাম
শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মসজিদে হামলা

উগ্রবাদীদের চেহারা উম্মোচনে উদ্যোগ নিন

ধর্মের ভেকধারী ভণ্ডরা বগুড়ার একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে মুয়াজ্জিনকে হত্যা ও ইমামসহ তিন মুসল্লিকে আহত করেছে। মসজিদে এশার নামাজের প্রস্তুতিকালে দুর্বৃত্তরা মুসল্লিদের ওপর গুলি চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক সময় শিয়া মুসলমানদের ধর্মীয় স্থাপনায় এটি নিয়ে তিনবার হামলার ঘটনা ঘটল। এক মাস তিন দিন আগে রাজধানীতে তাজিয়া মিছিলে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় দুজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। ১০ নভেম্বর রংপুরের কাউনিয়ায় ইমামবাড়ায় খাদেমকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পুলিশের ধারণা, শিয়া মুসলমানদের ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় মসজিদে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, মসজিদে হামলাকারীরা সাচ্চা মুসলমান নয়। নামাজের সময় মুসল্লিদের খুন করা কোনো সাচ্চা মুসলমানের কাজ হতে পারে না। ইসলামে মসজিদকে আল্লাহর ঘর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা মুসলমানদের কর্তব্য বলেও ভাবা হয়। কিন্তু উগ্রবাদের উপাসকরা চিন্তা-চেতনায় এতটাই দেউলিয়া হয়ে পড়েছে যে, মসজিদও তাদের প্রতিহিংসা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মসজিদে রক্তপাত ঘটানোকে উগ্রবাদীরা কর্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাদের বশংবদরা বাংলাদেশেও কালো হাত যেভাবে বাড়িয়ে চলেছে তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না। আমরা আশা করব বগুড়ায় মসজিদে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের সম্মুখীন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের চেষ্টাই চালাবে। পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো সাচ্চা মুসলমান মসজিদে হামলা চালাতে পারে না। তার বক্তব্যে যে সঠিক উপলব্ধির প্রকাশ ঘটেছে তা অভিনন্দনযোগ্য।  আমরা আশা করব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধকরণে এ সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিপথগামীদের মুখোশ উম্মোচনে সেটিই হবে প্রকৃষ্ট পথ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর