বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন

পিছিয়ে পড়া অবস্থান কাটিয়ে উঠতে হবে

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। ১৬৭ দেশের মধ্যে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্থান এখন ১৪৪তম। এক বছর আগে এ অবস্থান ছিল ১৪৫তম এবং গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ চার ধাপ এগিয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ ছিল ১৪৮তম অবস্থানে। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের এ অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বাংলাদেশের ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে একটি আশা জাগানিয়া ঘটনা। পাঁচ বছরে চার ধাপ এগিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বও নিঃসন্দেহে সমীহ করার মতো। তবে এতে আÍপ্রসাদের কোনো সুযোগ নেই। কারণ জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের অন্যতম। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন সূচকে ক্রমান্বয়ে অগ্রগতি লাভ করলেও ১৬৭টি দেশের মধ্যে ১৪৪তম স্থান কোনোভাবেই সুখকর নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকল্প বুকে ধারণ করলেও বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে কম ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানও এ গোত্রের মধ্যে পড়ে। স্মর্তব্য, আইটিইউয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ৩২০ কোটি মানুষ এখন অনলাইনের আওতায় চলে এসেছে, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ। দুনিয়াজুড়ে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৭১০ কোটিতে পৌঁছেছে। অর্থাৎ বিশ্বের ৯৫ শতাংশ মানুষ মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে। প্রতিবেদন মতে, ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে এসে বিশ্বের সব দেশই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এগিয়েছে। ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোই বেশি এগিয়ে। এ অঞ্চলের দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, জাপানের মতো ছয়টি দেশ শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। স্মর্তব্য, সূচকের অন্তর্ভুক্ত ১৬৭টি দেশের মধ্যে উন্নয়নের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে পড়া দেশ হলেও সে অবস্থান থেকে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা নিঃসন্দেহে এক ইতিবাচক ঘটনা। তবে অগ্রসর দেশগুলোর পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে স্পুটনিক গতিতে এগোতে হবে।

এ ক্ষেত্রে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর