শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা

হেলাফেলার কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়

হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছে ব্রিটিশ এভিয়েশনের একটি গোয়েন্দা দল। গত মাসে গোয়েন্দা দলটি বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর প্রদর্শনে এসে নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে সে দেশের সরকারের কাছে নেতিবাচক প্রতিবেদন দেয়। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশ বিমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার রোধে অত্যাধুনিক ডিভাইস সিস্টেম চালুসহ ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের দেওয়া নির্দেশনা ও শর্ত মানা না হলে ঢাকা থেকে লন্ডনের সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ার আভাস দেওয়া হয়। নাশকতা রোধে সরকার যখন সর্বক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি বজায় রাখার চেষ্টা করছে তখন দেশের প্রধান বিমানবন্দরেই বিরাজ করছে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো অবস্থা। কাস্টমস কিংবা কার্গো বিভাগ থেকে শুরু করে পুরো বিমানবন্দরের কোথাও এমন কোনো স্ক্যানার মেশিন নেই- যেটি দিয়ে বিস্ফোরক মাদক কিংবা কেমিক্যাল দ্রব্য শনাক্ত করা যায়। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার যে ঘাটতি রয়েছে তা যেমন অনাকাক্সিক্ষত তেমন উদ্বেগজনক। কেবল ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাই নয়, খোদ সিভিল এভিয়েশন, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও একই শঙ্কার কথা বলছেন। সম্প্রতি উচ্চ পর‌্যায়ের এক বৈঠকে রাষ্ট্রের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোটির নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা তুলে ধরা হয়। এ বৈঠকের পর কেমিক্যাল ও বিস্ফোরক শনাক্তকরণ স্ক্যানার মেশিন কেনার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে বিমানবন্দর কাস্টমস বিভাগ। বিমানবন্দরে যাত্রীদের চেকিংয়ের জন্য যে স্ক্যানিং হয় সেখানেও বিরাজ করছে অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতা। স্ক্যানার মেশিনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা এ সময় স্ক্যানিং মেশিনের দিকে খেয়াল রাখেন না এমন অভিযোগও প্রবল। যাত্রীর শরীর ও হ্যান্ডলাগেজ তল্লাশিতেও রয়েছে গাফিলতি।  নিরাপত্তার স্বার্থে শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা যেমন থাকতে হবে তেমনি নিরাপত্তাব্যবস্থাকে নিন্দ্রি করার ক্ষেত্রেও যত্নবান হতে হবে। এ ক্ষেত্রে হেলাফেলার কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর