রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

সাহাবায়ে কেরামের মর‌্যাদা

হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুক

সাহাবায়ে কেরামের মর‌্যাদা

সাহাবি বলা হয় সাথী এবং সঙ্গীদের। ইসলামী শরিয়তে সাহাবি বলা হয় ওইসব মহান ব্যক্তিবর্গ যারা ইমানের সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং মুমিন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন। নববী উদ্যানের মুবারক পরিবেশে মুহাম্মাদে আরাবি (সা.)-এর পুণ্যময় সান্নিধ্যে ওহিয়ে এলাহির পূর্ণ তত্ত্বাবধানে যারা তিলে তিলে গড়ে উঠেছিলেন তাদেরই বলা হয় সাহাবি। তারা সবাই রসুলের কাছ থেকে শিখেছিলেন সততা ও প্রকৃত সফলতা। তাই তো তাদের শানে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘তারাই সত্যবাদী তারাই সফলকাম’ কোরআনে কারিমের অন্য জায়গায় ঘোষণা করা হচ্ছে- ‘তারা ওইসব মহান ব্যক্তি আল্লাহ যাদের অন্তরকে তাকওয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেছেন তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার’। রসুলে আরাবি (সা.) সাহাবিদের মর‌্যাদা সম্পর্কে বলেন, ‘সর্বোত্তম যুগ হলো আমার যুগ, তার পর তার পরবর্তী যুগ।  মহানবী (সা.), অন্য জায়গায় বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে নবুওয়াতের জন্য এবং আমার সাহাবিদের আমি মুহাম্মদ (সা.) এর সঙ্গী-সাথী হওয়ার জন্য নির্বাচন করেছেন’। কোরআনে অন্যত্র আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনসারদের মাঝে পুরাতন এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও তার (আল্লাহর) প্রতি সন্তুষ্ট। আর তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হতে থাকবে নহরসমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। আর এটাই হলো মহান সফলতা।’ শুধু তাই নয়, কোরআন পাকের অন্য স্থানে ইরশাদ হচ্ছে ‘তিনি তাদের মাঝে তাকওয়াহ ও খোদাভীতি সুদৃঢ় মজবুত করে দিয়েছেন। আর তারাই সর্বাধিক যোগ্য ও হকদার।’ প্রিয় নবী (সা.) সাহাবিদের মর‌্যাদা সম্পর্কে আরও বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা জগৎবাসীর মধ্যে থেকে আমার সাহাবিদের নবী ও রসুলের পর নির্বাচিত করেছেন।’ কোরআন ও হাদিসে আরও অসংখ্যবার তাদের মর‌্যাদা সম্পর্কে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর