বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

খিয়াং বিয়ে

খিয়াং বিয়ে

খিয়াংদের মধ্যে সাধারণত একই গোত্রে বিয়ে হয় না। চাচাতো ভাই-বোনদের বিবাহ নিষিদ্ধ। ছেলে ও মেয়ের মধ্যে ভালোবাসা হলে উভয়ের অভিভাবক আলোচনার মাধ্যমে বিবাহের দিনক্ষণ ধার্য করে। অতীতে সামাজিকভাবে বিবাহ অনুষ্ঠিত হলে ছেলের পক্ষ থেকে মেয়ের মা-বাবাকে পণ দিতে হতো। এ পণকে তারা ‘দাফা’ বলে। পালিয়ে বিবাহ করার ক্ষেত্রে এ দাফার পরিমাণ বেড়ে যায়। দাফার টাকা প্রদানে ব্যর্থ হলে অভিভাবক মেয়েকে ফেরত নিয়ে যেত। যতদিন না ছেলের টাকা প্রদানে সামর্থ্য হয় ততদিন মেয়েকে নিজেদের কাছে রাখত। খিয়াংদের মধ্যে ঘরজামাইয়ের প্রথার প্রচলন আছে। এ ক্ষেত্রে ঘরজামাইকে দাফা দিতে হয় না।  খিয়াংরা মাচান ঘর তৈর করে বসবাস করে। এরা খুবই শান্তিপ্রিয়। পাহাড়ের ওপর খোলা জায়গায় এবং ছোট খাল বা ঝরনাধারার কাছে এদের গ্রামগুলো গড়ে ওঠে। এরা ঘরকে বলে ‘ইম’ এবং গ্রামকে বলে ‘নাম’। জুমচাষই তাদের জীবিকার প্রধান অবলম্বন। খিয়াং পুরুষরা লেংটি এবং নিজেদের হাতে সেলাই করা এক ধরনের জামা পরে। ছেলেদের হাতে থাকে রুপার চুড়ি ও কানে দুল। ছেলেরা মাথার চুল লম্বা রাখে এবং মেয়েদের মতো খোঁপা বাঁধে।

রমণীরা লুঙ্গি ও ব্লাউজ পরে। বিচিত্র ধরনের অলঙ্কারে নিজেদের আবৃত রাখে। তারা নিজেদের তৈরি কাপড় পরে। খিয়াংদের সমাজব্যবস্থা একজন নেতা থাকে, যাকে বলা হয় কার্বারী। খিয়াংদের সমাজ পিতৃতান্ত্রিক। অন্যায় বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনো লোকের বিচার গ্রামের কার্বারী তাদের নিজস্ব প্রথা অনুসারে করে। খিয়াং সমাজে মৃত ব্যক্তিকে দাহ করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর