মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নৌপথে পণ্য পরিবহন

আমদানি-রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে

ঢাকা-চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহনব্যবস্থা পাল্টে যাচ্ছে। সড়কপথে পণ্যপরিবহনের বদলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে নদীপথে পণ্য পরিবহনের ঝোঁক বাড়ছে। এর ফলে যানজট ও নানা কারণে পণ্য পরিবহনে যে সময় নষ্ট হয়, তা থেকে যেমন রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে তেমন কমছে পরিবহন খরচ। সড়কপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির যে ভয় ব্যবসায়ীদের তাড়া করে বেড়ায়, নৌপথে সে আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। নৌপথে ঢাকা-চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহনে সরকারি উদ্যোগে ঢাকার অদূরে পানগাঁওয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল (আইসিটি)। এ ব্যাপারে এগিয়ে এসেছেন বেসরকারি উদ্যোক্তারাও। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা ও মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর তীরে গড়ে উঠছে একাধিক বেসরকারি আইসিটি। নারায়ণগঞ্জে দুটি বেসরকারি আইসিটি আগামী বছরই চালু করা সম্ভব হবে। এসব আইসিটি ব্যবহার করে চট্টগ্রাম থেকে  আমদানিকৃত পণ্য ঢাকার বিভিন্ন শিল্প এলাকায় কম খরচে দ্রুত পৌঁছানো যেমন সম্ভব হবে তেমন রপ্তানি পণ্য দ্রুত চট্টগ্রাম বন্দরে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। হরতাল-অবরোধসহ নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচির সময়ও দেশের পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রাখার সুযোগ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীপথে পণ্য পরিবহন খরচ এবং ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে নদীপথে পণ্য পরিবহন এতদিন উপেক্ষিত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কনটেইনার টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা নৌপথে পণ্য পরিবহন সহজ করেছে। লাভজনক বলে বিবেচিত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও এ ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে বছরে যে পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয় ২০২০ সাল নাগাদ তা দ্বিগুণ হবে। সড়কপথের পাশাপাশি নৌপথে পণ্য পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এ বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে উত্কণ্ঠা ছিল তার অবসান ঘটবে। আমরা আশা করছি জাতীয় অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থে নৌপথে পণ্য পরিবহনকে উত্সাহিত করা হবে। নৌপথ সচল রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তা রক্ষায়ও নেওয়া

হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর