শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

সন্ত্রাসীদের দলীয় পরিচয়ে যেন দেখা না হয়

পৌরসভা নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযানের কথা ভাবা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এ উদ্দেশে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি বৈঠক ডেকেছে এবং বৈঠক থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। নির্বাচনে সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রধারীরা যাতে মাথা উঁচু করার সাহস না পায় তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের অভিযান চালানো রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। তবে সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রধারী যেই হোক তাকে আইনের অধীনে আনতে হবে। অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা যাতে হয়রানির সম্মুখীন না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় হোক আর জাতীয় নির্বাচন হোক প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নির্বাচন কেন্দ্র থেকে দূরে রাখা অসৎ প্রার্থীদের একাংশের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীদের মহড়া দেওয়ার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। বিরোধীদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের ওপর সরকারদলীয় সমর্থকরা নানাভাবে চড়াও হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় কারা অবৈধ অস্ত্রধারী এবং সন্ত্রাসী তা সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জানা থাকার কথা। অভিযানকালে রাজনৈতিক পরিচয়কে গুরুত্ব না দিয়ে সমাজবিরোধী ও সন্ত্রাসী যেই হোক তাকে পাকড়াও করা হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সুনামের স্বার্থে পৌরসভা নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে এমনটিই দেখতে চায় দেশবাসী। নেতিবাচক কর্মসূচি থেকে সংসদবহির্ভূত বিরোধী দলকে দূরে রাখার স্বার্থেও সুষ্ঠুভাবে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনকে যত্নবান হতে হবে।

সর্বশেষ খবর