মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ডিসেম্বর স্বাধীনতার মাস

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

ডিসেম্বর স্বাধীনতার মাস

বেশ কয়েক বছর পর মহামান্য রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে গিয়েছিলাম। অনেক অতিথির সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতে বেশ ভালোই লেগেছে। বড় মেয়ে কুঁড়ি নতুন বছরের শুরুতে লেখাপড়া করতে বিলেতে যাবে। বেশ কয়েক দিন বেগম সাহেবা বলছিলেন, আপাকে ব্যাপারটা জানিয়ে আসি। টাকা-পয়সা তেমন ছিল না। অনেক চেষ্টা করে সেশন ফি দিয়েছি। ভিসার জন্য ব্যাংকে যা প্রয়োজন তারও ব্যবস্থা করেছি। এখন শুধু পাড়ি দেওয়া। তিন সন্তানের জনক-জননী আমরা। দীপ-কুঁড়ি-কুশি আমাদের চোখের আলো, অন্ধকারের প্রদীপ। দীপ-কুঁড়ি ঔরসজাত, কুশিমণি আল্লাহর দান, আমার জিয়নকাঠি। আমাদের বিয়ে হয়েছে অনেক বছর। স্বামী-স্ত্রী আস্তে আস্তে যেভাবে একে অন্যের মধ্যে একাকার বা বিলীন হয়ে যায়, আমাদেরও ধীরে ধীরে তেমন হয়েছে। এখন আর স্ত্রীকে আলাদা অস্তিত্বের কিছু ভাবী না, তাই তার কথা ফেলতে ইচ্ছা করে না, ফেলিও না। সে জন্য তার কথায় বঙ্গভবনে গিয়েছিলাম। বঙ্গভবন নিয়ে অন্য দিন লিখব। কিছু দিন আগে বড়সড় অসুখ হওয়ায় আমার স্ত্রী খুব একটা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের জন্য রাখা আরাম কেদারায় অনেক বলে কয়ে তাকে বসিয়েছিলাম। আমি আর প্রখ্যাত আইনজীবী বাসেত মজুমদার শিকলের বাঁধার বাইরে বেশ কিছু সময় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিলাম। বেগম ছিলেন শিকলের ভিতরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। কিন্তু মেয়ের বিদেশ যাওয়ার কথা হয়েছে কিনা বা বলতে পেরেছেন কিনা জানি না। কারণ পরদিন টাঙ্গাইল চলে এসেছিলাম। তাই আর ওসব নিয়ে কথা হয়নি।

হঠাত্ই ১৬ তারিখ রাতে জিটিভির উপস্থাপক অঞ্জন রায়ের ফোন, ‘দাদা, ১৬ তারিখ আপনার দিন। আজ যদি আমাদের এখানে একটু আসতেন।’ প্রসাদ রায়ের ছেলে অঞ্জন। বড় ভালো মানুষ ছিলেন অঞ্জনের বাবা। তেমন একটা যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। তবুও পীড়াপীড়িতে রাজি হয়েছিলাম। ঘরে ফেরার আগেই ভাগিনা শাকিলের ফোন। হঠাত্ কী ব্যাপার? ‘না মামা, রাতে আপনার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’ কী বল? এখন ৯টা বাজে। রাতে আবার কীভাবে দেখা হবে? ‘আপনি জিটিভিতে যাবেন। আমিও যাব।’ তেমন একটা অবাক হইনি। এখন তো ওদেরই সময়। শাকিল টগর আপার ছেলে। টগর, অটল, বকুল, টুলু তারা চার বোন। ময়মনসিংহে বাড়ি। টগর আপা একসময় করটিয়া সা’দত কলেজে পড়তেন। অটল আপাও পড়তেন কিনা জানি না। টগর আপা আমাকে যেমন কাদের বলেন, বড় ভাইকেও লতিফ বলে ডাকেন। বড় ভাইয়ের কেমন লাগে জানি না, আমার কিন্তু ভালোই লাগে। আন্তরিকতার এক জীবন্ত ছবি তিনি। কোনো কুটিলতা-কৃত্রিমতা নেই। ’৯০-এর গণআন্দোলনে যখন দেশে ফিরি তখন শাকিল ঢাকায় পড়ত। বাসায় এলেই ওর মামিকে বলত, ‘খিদে পেয়েছে। খেতে দিন।’ মনে হতো ওর যেন সব সময় খিদে লেগেই থাকে। যেমনটা ’৭২, ’৭৩, ’৭৪, ’৭৫-এ সৈয়দ নুরু, আড়াইহাজারের মমতাজ আর কামাল মজুমদারের লেগে থাকত। সারা দিন স্কুটারে ঘুরেফিরে সন্ধ্যায় বাবর রোডে এসে পেট পুরে খেয়ে বাসার সামনে স্কুটার ফেলে চলে যেত। স্কুটার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে বলত, যারা বাড়ির ভিতরে গেছে তারা তো আর ফিরছে না। তাই দাঁড়িয়ে আছি। প্রথম প্রথম না বুঝলেও পরে আমাদের বোঝা হয়ে গিয়েছিল। স্কুটারওয়ালাকে পেট ভরে খাইয়ে ২০-৩০ টাকা জরিমানা দিয়ে বিদায় করতে হতো। পরে অবশ্য সেটা আমাদের ডিউটির মতো হয়ে গিয়েছিল। নির্বাসন থেকে ফিরলে শাকিল, জীবন, অরুণ, তরুণ আরও কয়েকজনের ব্যাপার প্রায় একই রকম ছিল।

ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টায় জীবনে প্রথম জিটিভিতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বসে আছেন। অল্প সময় হলো অবসর নিয়েছেন। ভালো-মন্দ মিলিয়ে একজন মানুষ। প্রথম প্রথম চিনতে পারিনি। কিন্তু কিছু কথাবার্তার পর চিনতে পারি। ’৮৯-এ ইংল্যান্ডে তার বাড়ি গিয়েছিলাম। ভালোই যত্ন করেছিলেন। এমনিতে সবাই আমায় যত্ন করে। মনে হয় তিনি একটু বেশি করেছিলেন। শাহাবুদ্দিন চঞ্চল নামে আমার এক ভক্ত তার বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল। তার স্ত্রী তখন ভীষণ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তার পরও যে যত্ন করেছিলেন তা বলার মতো নয়। তবু কী করে যে চিনতে পারিনি, নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হচ্ছিল। বিলেতে আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি বরিশালের সুলতান শরীফ। তিনিও মনে হয় বেশ কয়েকবার সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি নিয়ে গেছেন। সুলতান শরীফের স্ত্রী আইরিশ মহিলা নোরা ভাবী। তিনিও ছিলেন এক অসাধারণ মানুষ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার ত্যাগ-তিতিক্ষা মাপার তেমন কোনো ভালো একক নেই। আলোচনায় শাকিল আমার পাশে ছিল। বেশ সাবলীল। ভালোই লেগেছে তার আলোচনা। এখন আর আমাদের আলোচনায় কী আসে যায়? ‘ঐ নূতনের কেতন উড়ে, তোরা সব জয়ধ্বনি কর।’ নতুনকে জায়গা ছেড়ে দেওয়াই ভালো। আলোচনার একপর‌্যায়ে শাকিলের কণ্ঠে শুনলাম, ‘এটা আমার অভিযোগ নয়, আমার অভিমান। যিনি এখনো বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবনপাত করেন। তার মতো মানুষ, এত বড় মাপের একজন মুক্তিযোদ্ধা দিগন্ত টিভিতে অনুষ্ঠান করে, নয়া দিগন্তে লেখে এটা কী করে সম্ভব?’ প্রশ্নটা আরও দু-এক জায়গায় শুনেছি। কিন্তু তেমন গা করিনি। শাকিলের দরদি কণ্ঠে প্রশ্নটা আমাকে ভাবিয়ে তোলে। সত্যিই তো দিগন্তে অনুষ্ঠান করা এবং নয়া দিগন্তে লেখা তাদের যদি উতলা করে, পছন্দ না হয় তাহলে তো সর্বনাশ। আমি তো ভারতের অস্ত্রে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। যুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান হানাদারদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্রে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এখন কারও যদি মনে হয় ভারতের অস্ত্রে যুদ্ধ করিনি, পাকিস্তানের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্রে যুদ্ধ করেছি, সে অস্ত্রই সবার আগে বঙ্গবন্ধুর পদতলে বিছিয়ে দিয়েছি। এই প্রজন্মের কেউ যদি বলে বসে তোমাকে আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিলাম না। তখন আমার উপায় কী?

আল্লাহই মানুষকে পথ দেখান। সেদিন অথবা তার আগের দিন আ হ ম মুস্তফা কামালের বুকফাটা আর্তচিত্কার আমার হূদয় স্পর্শ করেছে। ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার তেমন ঘনিষ্ঠতা নেই। কী করে পরিকল্পনামন্ত্রী হয়েছেন তা-ও জানি না। বিপুল বিত্তের মালিক। লোকটিকে আমার কখনো অযোগ্য মনে হয়নি। তার সময় ক্রিকেট বিশ্বকাপের কয়েকটি খেলা বাংলাদেশে হয়েছে। ঢাকা শহরসহ সারা দেশ সে সময় মেতে উঠেছিল। সে জন্য সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশের অনেক সুনাম হয়েছে। একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে সেই তখন থেকেই তার প্রতি একটা শ্রদ্ধা জেগেছে। ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিয়ে তিনি যে এমন বেকায়দায় পড়বেন ঘুমের মধ্যেও তেমন ভাবিনি। একসময় জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছোটখাটো আবুল বারকাত জনাব মুস্তফা কামালকে ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ব্যয় করার নিন্দা করেছেন। এ দেশে সময় পেরোলে অনেকে অনেক কথা বলেন। আজ শত মুখে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে চলেছেন বিপদ এলে আমি এই নাদান ছাড়া শতকরা ৯০ জন নিন্দা করবেন। জনতা ব্যাংক জনাব বারকাতের নেতৃত্বে খেতাবপ্রাপ্তদের ওপর একখানা বই ছেপেছে। বইটা খুব একটা ভালো হয়নি। তাদের নিজেদের ছবির চেয়ে খেতাবপ্রাপ্তদের ছবি অনেক ছোট এবং প্রাধান্যহীন হয়েছে।

জনাব আবুল বারকাতের কথামতো ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ব্যয় করে মুস্তফা কামাল যদি অন্যায় করে থাকেন তাহলে যারা ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কিনেছেন তারা অন্যায় করেননি? বছর শেষে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যে ট্যাক্স দেন তা বাংলাদেশের বৈধ ট্যাক্সকে অবৈধ করে না? প্রায় আমার মতো, দিগন্ত টিভিতে আমি কী করলাম, কী বললাম তা নিয়ে আলোচনা নয়, আলোচনা আমি দিগন্তে অনুষ্ঠান করেছি। অনুষ্ঠান করে খারাপ হয়ে গেলাম। যারা শেয়ার কিনে মালিক হলো তারা খারাপ হলো না? সেখানে স্বাধীনতার কথা, বঙ্গবন্ধুর কথা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কথা যতবার বলেছি, জনাব গোলাম আযমের ন্যক্কারজনক স্বাধীনতাবিরোধিতার কথা যে সাবলীলভাবে তুলে ধরেছি আমার মনে হয় বাংলাদেশ টিভিও তা পারেনি। কিন্তু যেহেতু আমি অনুষ্ঠান করেছি, তাতে দোষ। ‘সাধারণ মানুষ মাকড় মারলে কত কিছু হয়, রাজার পোলায় মারলে কিছুই হয় না’ মাকড় মারলে ধোকর হয়। প্রায় অনেকটা তেমন। বেচারা আ হ ম মুস্তফা কামাল ইসলামী ব্যাংকের টাকা চাঁদা নেওয়ার কারণে কী কষ্টেই না আছেন এ কদিন। কিন্তু যে যাই বলুন, বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত করে সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সে জন্য তিনি আজীবন দেশবাসীর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা পাবেন।

এবার গত পর্বে আসি। শত্রুসেনার উদ্দেশে পত্র তো লেখা হলো। এখন সেটা পাঠাব কী করে? তিনজন মিত্র ও একজন কাদেরিয়া বাহিনীর যোদ্ধা বার্তা নিয়ে যাওয়ার জন্য দুটি জিপে উঠে বসল। কিন্তু যুদ্ধের সময় শত্রুশিবিরে যেতে সাদা পতাকার দরকার। আমাদের কাছে শান্তির প্রতীক কোনো সাদা পতাকা নেই। এখন কী করা? সাধারণত মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ে সাদা কাপড় থাকে না। কারণ তা দূর থেকে দেখা যায়। সে জন্য সাদা কাপড়ের অভাব। একজন যোদ্ধার গায়ে সাদা শার্ট পাওয়া গেল। শীতের সকাল, ওই অবস্থায়ই তার জামা খুলে মাঝামাঝি ছিঁড়ে দুই জিপে লটকে দেওয়া হলো। তারা চলল শত্রুশিবিরের দিকে। ঢাকা সেনানিবাসের ১৪ ডিভিশন হেডকোয়ার্টারে শত্রু সেনাপতি টাইগার নিয়াজির হাতে পৌঁছে দিল আমাদের বার্তা। দূতদের জানানো হলো আত্মসমর্পণে নিয়াজির আপত্তি নেই। প্রাথমিক প্রস্তুতির জন্য নিয়াজির প্রতিনিধি জেনারেল জামশেদকে অল্পক্ষণের মধ্যে মিরপুরের আমিনবাজারে পাঠানো হচ্ছে। শুভ সংবাদে দূতরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে তুফানের বেগে ফিরে আসতে থাকে। প্রচণ্ড গর্জনে গাড়ি দুটি পুরনো মিরপুর সেতু পার হতেই আমাদের অগ্রবর্তী সৈন্যরা সাদা পতাকা না দেখে শত্রু সৈন্য মনে করে মেশিনগানের ট্রিগার চেপে ধরে। কয়েক ঝাঁক গুলি বেরিয়ে গিয়েই আবার সব স্তব্ধ। ভুল ভাঙে তাদের। এ যে শত্রু নয়, আমাদেরই লোক। ছুটে এসে খবর দেয়, আমাদের যে দূতরা শত্রুশিবিরে গিয়েছিল তারা ফিরে এসেছে। ঝড়ের বেগে ছুটে আসায় আর গাড়িতে সাদা পতাকা না থাকায় আমাদের পক্ষ থেকে গুলি চলায় তিনজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। আমিনবাজারের কৃষ্ণচূড়ার নিচে যৌথবাহিনীর যোদ্ধাদের বুকের রক্তে পিচঢালা রাজপথ লালে লাল হয়ে গেল। আমরা চারজন ছুটে যাই গাড়ির কাছে। ভারতীয় এক আহত মেজর জিপের স্টিয়ারিংয়ে শরীর এলিয়ে দিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। সেনাপতিদের দেখে যতটা সম্ভব কষ্ট হজম করে আমাদের সেই বহু কাঙ্ক্ষিত বার্তাটি শুনাল, ‘শত্রুপক্ষ আত্মসমর্পণে রাজি। তাদের প্রতিনিধি এখনই আসছে।’

আহত-নিহতদের কোথায় নেওয়া হবে তা নিয়ে কথা হলো। নাগরা বললেন আহত মেজরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দিই। আমি বললাম, না। নিহতদের যেহেতু পেছনে পাঠানো হবে তাই আহত মেজরকেও মির্জাপুর হাসপাতালে পাঠানোই ভালো। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। আমিনবাজারের পুরনো মসজিদের পাশে হেলিকপ্টার এনে আহত-নিহতদের তুলে দেওয়া হলো। বুকের ভিতর চিনচিন করে বেদনার নহর বইল, স্বাধীনতার এত কাছে এসে স্বাধীনতার বীর সন্তানেরা স্বাধীন দেশে শ্বাস নিতে পারল না। মুক্তি আর মিত্র বাহিনীর রক্তে একাকার হয়ে গেল স্বাধীনতা। এই রক্তের কথা কতদিন আমরা মনে রাখব, দেশ মনে রাখবে তা ভবিষ্যত্ই    বলতে পারবে। হেলিকপ্টার উত্তর-পশ্চিমের আকাশে মিলিয়ে যাওয়ার আগেই কয়েকজন কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার নিয়ে ঘাতক নিয়াজির প্রতিনিধি মেজর জেনারেল জামশেদ আমিনবাজারে এসে আমাদের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সেলুট করলেন। তখন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট।

লেখক : রাজনীতিক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর