বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

টাকা এখন রপ্তানি পণ্য

ডক্টর তুহিন মালিক

 টাকা এখন রপ্তানি পণ্য

এক. টাকা এখন রপ্তানি পণ্যে পরিণত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি পাচার করা হয়েছে বলে সম্প্রতি জানানো হয় ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি থেকে। পাচার হওয়া এই টাকা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি। তার মানে প্রতি বছরই দ্রুতগতিতে টাকা পাচার করা হচ্ছে।  অবাক করার মতো ঘটনা, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া এই টাকা আমাদের চলতি অর্থবছরের বিভিন্ন খাতের মোট উন্নয়ন বাজেটের সমান। এটা অবশ্য ২০১৩ সালের টাকা পাচারের রেকর্ড। ইতিমধ্যে পার হয়ে গেছে আরও দুটি বছর। আর প্রতি বছর এই হারে পাচার হলে ২০১৫ সালে এরই মধ্যে হয়তো এটা লাখো কোটি টাকাও ছাড়িয়ে গেছে। দেশ থেকে টাকা পাচারের সবচেয়ে বড় চাক্ষুষ প্রমাণ হচ্ছে, গত কয়েক বছরে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে স্থবিরতা। গত দুই বছরে তিনশরও বেশি গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আসলে ওয়ান-ইলেভেনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মনে রেখেই দুর্নীতির লীলাভূমি বাংলাদেশ থেকে গত বছরগুলোতে প্রায় সব ডাকসাইটে রাজনীতিবিদ ও আমলারা তাদের দুর্নীতির টাকাগুলো বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন। টাকা পাচারের সঙ্গে নিজেদের পরিবার-পরিজনকেও বিদেশে বিলাসী জীবন উপভোগের জন্য নিরাপদে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া দেশে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশের শিল্পোদ্যোক্তারাও নিজেদের সন্তান, সম্পদ ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্নভাবে বিদেশে টাকা পাচার করে দিয়েছেন। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সম্ভ্রান্ত এলাকাগুলোর নজরকাড়া সুরম্য বাড়িঘরগুলোর মালিকানা বাংলাদেশিদের জেনে আনন্দ বোধ করলেও, এতে দেশ কিন্তু প্রায় শূন্যই হয়ে পড়েছে। ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ার ‘বাংলাদেশ পল্লী’ কিংবা কানাডার ‘বেগমপাড়া’ কার কার টাকায় গড়েছে এ খবরইবা কে রাখে? বিগত কয়েক বছরে এভাবে যত টাকা পাচার করা হয়েছে তা দিয়ে অন্ততপক্ষে দুই বছরের বাজেট তৈরি করতে পারত বাংলাদেশ। আর এরকম ডিজিটাল গতিতে চলতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ মুদ্রা রপ্তানিতে এক নম্বর দেশে পরিণত হবে। আশ্চর্যের বিষয়, এদেশে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে নিরবরা মরছে, আর বছরে লাখো কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে! এদিকে অসহায় জনগণ ‘উন্নয়নের হাওয়াই মিঠাই’ খাওয়ার লোভেই যেন মগ্ন! সরকার কি পারবে এই টাকা পাচারকারীদের নাম জনসম্মুখে প্রচার করতে? আর এতদিনে কারা কারা বিদেশে সেকেন্ড হোম খরিদ করেছে তাদের মুখোশগুলো উন্মোচন করতে?

দুই. একমাত্র অন্ধ দলকানা মানুষ ছাড়া যাদের মধ্যে ন্যূনতম দেশপ্রেম আছে তাদের বিবেক এ নিয়ে জাগ্রত হতে বাধ্য। উন্নয়নের জোয়ারে দেশ নাকি ভেসে যাচ্ছে, কিন্তু এখন তো দেশের টাকা পাচারের জোয়ারে বিদেশও ভেসে যাচ্ছে। আমাদের প্রবাসীরা হাড়ভাঙা খাটুনি করে যে টাকা দেশে পাঠাচ্ছে তা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের বদলে চোরাই পথে সেই বিদেশেই আবার পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। এখন তারাই আবার মানুষকে দেশপ্রেম, স্বাধীনতার চেতনা ইত্যাকার গলাবাজিতে সবক শেখাচ্ছে। দেশে যেহেতু আজ গণতন্ত্র নেই তাই কোনো জবাবদিহিতাও নেই। কে কার কাছে জবাবদিহি করবে? রাজনৈতিক শত্রুদের বিষদাঁত ভাঙতে দলগুলো ব্যস্ত থাকলেও ব্যাংক ডাকাত, শেয়ারবাজার লুটেরা ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যেন ভিজাবিড়াল। জনগণের ভোটাধিকার হরণে এরা যতটা পটু, জনগণের সম্পদ রক্ষায় ততটাই নীরব। প্রতিপক্ষ দলের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নে পারদর্শিতা দেখাতে পারলেও প্রতিপক্ষের দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে মিলেমিশে লুটপাট-বাণিজ্য ভাগাভাগি করতেও মহাওস্তাদ। অর্থাত্ দিন শেষে কোনো দুর্নীতিবাজদের বিচার করা হয় না। এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে যেন একটা অলিখিত বোঝাপড়া রয়েছে। নীতিটা এরকম যেন, তোমার দুর্নীতির বিচার আমি করব না, তুমিও আমার দুর্নীতিতে বাধা দেবে না। আবার কিছু রাজনীতিবিদ তো রয়েছেনই সব সরকারের সঙ্গে মিলেমিশে দুর্নীতি করতে সিদ্ধহস্ত। কিছু ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদও আবার আছেন দুই নেত্রীর পেছনে সময়মতো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালার কাজে ব্যস্ত। দল ক্ষমতায় আসামাত্রই শুরু হয়ে যায় এদের তাণ্ডবলীলা। এই ব্যবসায়ীদের কল্যাণেই আমাদের মত্স্যজীবী নেতারাও আবার রাতারাতি বনে যান শিল্পোদ্যোক্তা, টিভি চ্যানেল, বিশ্ববিদ্যালয় আর হরেক রকমের ব্যাংক-বীমার মালিক। নেতাদের এতে কোনো রকম বিনিয়োগের প্রয়োজন নাকি লাগে না। লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়াটাই নাকি তাদের বিনিয়োগ। দেশে এখন ঘুষ-দুর্নীতিকে অপরাধ বা পাপ বলে মনে করে না কেউ। এটা যেন ক্ষমতাবানদের ন্যায্য অধিকার। প্রশাসন, বিচার, রাজনীতি, সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে নেত্রীদের সাক্ষাত্ পেতে পর্যন্ত নাকি নজরানা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। এ অবস্থা শুধু এই সরকারের সময়ই নয়, দীর্ঘ সময় ধরেই পুরো জাতি ঘুষ-দুর্নীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে নিমজ্জিত হয়ে পাপীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। দেশে এখন ঘুষ ছাড়া লোকের সংখ্যা গুনতে গেলে হাতের আঙ্গুলের মধ্যেই সংখ্যাটা সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে।

তিন. আজ থেকে ঠিক দুই বছর আগে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামার মাধ্যমে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের পাঁচ বছরের শত শত গুণ সম্পদ বৃদ্ধির খবর প্রকাশ পায়। তাদের স্ত্রীরাও বনে গিয়েছিলেন শত শত কোটি টাকার সম্পদশালী। ক্ষমতার পাঁচ বছরে ১০৭ গুণ পর্যন্ত সম্পদ বাড়ার রেকর্ড অর্জন করে বসেন তত্কালীন সরকারের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা। এদের একটি অংশ আবার মন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায়ও মত্স্য চাষ করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় যাদের স্ত্রীদের কোনো আয়ই ছিল না তারাই স্বামীর পাঁচ বছরের শাসনামলে আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে নিয়ে আবির্ভূত হন শত কোটি টাকার মালিকরূপে। গাড়ি, বাড়ি, প্লট, অ্যাপার্টমেন্ট, পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্র, কৃষি-অকৃষি জমি, মত্স্য চাষ, ঠিকাদারি, শিল্প প্রতিষ্ঠান, প্রবাসী আয়, স্বর্ণালঙ্কার, ওষুধ, গার্মেন্ট, রাবার-চা বাগানের মালিক, ব্যাংক-বীমা-টিভি চ্যানেল-বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কলেজ আরও কত রকমের যে ব্যবসা! সাত বছর আগে অবশ্য কিছুটা হলেও গণমাধ্যম স্বাধীন ছিল বলে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের আমলনামা প্রকাশ করা হয়তো সম্ভব ছিল। আর এখন যা অবস্থা তাতে আগামী নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামার বিধানটি বাতিল করে দেওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।

চার. দুর্নীতি আমাদের রাজনীতির এক সমার্থক শব্দে রূপ লাভ করেছে। আর বর্তমানে দুর্নীতি এতটাই বেপরোয়া যে নতুন নতুন রেকর্ড করে চলেছে। অর্থমন্ত্রী অবশ্য এগুলো নিয়ে মাথা ঘামান না কখনো। তার কাছে ৪ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি বড় কিছু নয়। শেয়ারবাজারের ৪০ হাজার কোটি টাকা, হলমার্কের ৩ হাজার কোটি টাকা, ডেসটিনির ৬ হাজার কোটি টাকা, পদ্মার দেড় হাজার কোটি টাকা, কুইক রেন্টাল থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা, টেলিকম সেক্টর, রেলের দুর্নীতিসহ প্রতিটি সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি আর লুটপাটের কথাগুলো যেমন মানুষ ভুলে গেছে এটাও একসময় সবাই ভুলে যাবে। তাই ৪ হাজার কোটি টাকা যেমন কিছু নয়, তেমনি ৭৬ হাজার কোটি টাকাও কিছুই নয়। কিন্তু কত টাকা হলে ৭৬ হাজার কোটি টাকা হয় তার হিসাব এদেশের কৃষক, শ্রমিক, গার্মেন্ট কর্মী, সাধারণ মানুষ আর রিকশাচালকের জানা নেই। অথচ তাদের ঘামের কারণেই বাংলাদেশ সচল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণ কিছু পায়’। কিন্তু মানুষ তো এখন দেখছে যে, সরকারের মন্ত্রী-এমপি আর নেতা-কর্মীরাই সব পাচ্ছে। ব্যাংকে এক লাখ কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। আর অন্যদিকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। নিশ্চয়ই বিরোধী দলের পক্ষে এখন দুর্নীতি করে টাকা পাচার করা সম্ভব নয়। তাদের পক্ষে ব্যাংক লুট করাও তো সম্ভব নয়। তাহলে এই টাকা পাচার করল কারা? নিশ্চিতভাবেই এটা রাজনৈতিক লুটপাট, দুর্নীতি আর ঘুষের টাকা। ব্যাংকগুলো থেকে লোন নিয়ে খেলাপিরা সেই টাকাও বিদেশে পাচার করছে। আর রাজনৈতিক কলকাঠি নাড়িয়ে ব্যাংকগুলো এসব ঋণ মওকুফে বাধ্য হচ্ছে। রাজনীতির গরম গরম টাকা দিয়ে যেহেতু রাতারাতি শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করা সম্ভব নয়, তাই এগুলো সহজেই বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যত সহজে কামাই হচ্ছে, তত সহজে দিব্যি পাচারও হচ্ছে। একেকটা রাষ্ট্রীয় কন্ট্রাক্ট আর লাইসেন্স পেতে শত শত কোটি টাকার রাজনৈতিক কমিশন পাওয়া গেলে বিলিয়নিয়ার হতে কদিন সময় লাগে?

পাঁচ. দেশের টাকাগুলো যদি এভাবে বাইরে পাচার না হতো তবে এই টাকাগুলো আমাদের অর্থনীতিতেই রয়ে যেত। তখন এগুলো দেশের উত্পাদনশীল খাতে ব্যবহার হতো। নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠত। ব্যবসা পেত বহু লোক। চাকরির সংস্থান হতো লাখো-কোটি মানুষের। অথচ দেশে এখন কর্মসংস্থানের অভাবে বেকার জীবনের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে লাখ লাখ যুবক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ২৬ লাখ লোক বেকার। এর মধ্যে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাই নাকি বেশি। এদিকে গত রবিবার খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দাবি করেছেন দেশের শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেই ৭০০ কোটি টাকার বেশি লোপাট করা হয়েছে। তিনি অবশ্য ‘অজ্ঞাত কারণে’ সেই অর্থ লোপাটকারীর পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে লোকে কিন্তু লুটেরাদের পরিচয় সম্পর্কে ঠিকই জ্ঞাত আছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। এই সাত বছরে তারা দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয় ও দলীয় অনুকম্পা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বিএনপি জোট সরকারের অতীতের সব দুর্নীতির রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসামাত্রই দুর্নীতি ঢাকতে সরকার সবসময় বিএনপি সরকারের উদাহরণ টেনে আনে। যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। এভাবে যদি লুটপাট চলতেই থাকে তবে ২০১৯ সালের মধ্যে এদের সম্পদের পরিমাণ হিমালয়ের চূড়ায় গিয়ে পৌঁছবে।

ছয়. মানব সভ্যতার ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাধারণত গণসমর্থনহীন শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের সময় এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর মাধ্যমে দুর্নীতি করে থাকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের দুর্নীতিরই সবচেয়ে বেশি প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই ইংরেজ কোম্পানি তাদের এদেশীয় দোসরদের সঙ্গে দুর্নীতির মাধ্যমে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। খ্রিস্টপূর্ব তিন শতাব্দী আগে প্রাচীন ভারতের কূটনীতি শাস্ত্রের পুরোধা চাণক্য লিখে যান, সাপের বিষ জিভের আগায় রেখে তার স্বাদ না নেওয়া যেমন অসম্ভব তেমনি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের রাজকোষের সম্পদে ভাগ না বসানোও ঠিক তেমনিভাবেই অসম্ভব। চাণক্যের অর্থশাস্ত্রের বয়স প্রায় দুই হাজার বছর। চাণক্য আরও লিখেছেন, সরকারি কর্মচারীরা দুইভাবে বড়লোক হয়। তারা সরকারকে প্রতারণা করে, অন্যথায় প্রজাদের অত্যাচার করে।  চাণক্যের অর্থশাস্ত্রের মতে, ‘জিহ্বার ডগায় মধু থাকলে তা না চেটে থাকা যেমন অবাস্তব, তেমনি অসম্ভব হলো সরকারের তহবিল নিয়ে লেনদেন করে এতটুকুও সম্পদ চেখে না দেখা।’  তাই দেশের জনগণের টাকা দুর্নীতিবাজদের জিভের ডগার বাইরে রাখার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে। তবে প্রশ্ন হলো, এ বিধানটা করবে কে?

     লেখক : সুপ্রিমকোর্টের আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষ।

   e-mail: [email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর