রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সাংবাদিক হত্যা

অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন

রংপুরে গাছে বাঁধা অবস্থায় এক সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় যুগের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার উৎস রহমান গত বুধবার রাত ১২টার দিকে কাজ শেষে অফিস থেকে মোটরসাইকেলে পীরপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সকালে পুলিশ নগরীর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনের একটি গাছে বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পায়। তার মাথা ছিল থেঁতলানো। তার মোটরসাইকেল এবং মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে উৎসকে হত্যা করা হয়েছে। তারপর লাশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে গাছে বেঁধে রাখা হয়। উৎস রহমান কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার হলো তা যথাযথ তদন্তে উদ্ঘাটিত হতে পারে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের সংশ্রব থাকতে পারে। কয়েক দিন আগে তিনি মাদক ব্যবসা সম্পর্কে প্রতিবেদন লিখে হুমকির মুখে পড়েন। দেশে হত্যাকাণ্ড ও অপঘাতে সাংবাদিকের মৃত্যু যেন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংবাদদাতা সজীবের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ধলেশ্বরী নদী থেকে। তার মোবাইল থেকে ফোন করে একজন লঞ্চযাত্রী জানায়, সজীব লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। পরে নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা গেলেও এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি। সজীব লঞ্চে উঠেছিলেন কেন তাও রহস্যের বিষয়। তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে এমনটিই সন্দেহ করা হচ্ছে। চলতি মাসে রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায়ও একজন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। দুনিয়াজুড়েই সাংবাদিকতাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বলে মনে করা হয়। সাংবাদিকরা জেনেশুনেই এ পেশায় আসেন। বাংলাদেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটলেও প্রায় ক্ষেত্রেই হত্যাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশের মধ্যে অনীহা রয়েছে এমন অভিযোগও দীর্ঘদিনের। আমরা আশা করব উৎস রহমানের হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন এবং অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করে সে প্রবণতার ইতি ঘটানো হবে।  একই সঙ্গে সজীবের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর