সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সাফ ফুটবলে ব্যর্থতা

ঘুরে দাঁড়াতে হলে চাই নিবিড় পরিচর্যা

খাপছাড়া খেলার খেসারত দিতে হলো বাংলাদেশকে। দল গঠনের সময় সাফ শিরোপা অর্জনকে লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করা হলেও গ্রুপ পর্বেই সেই স্বপ্নের সমাধি রচিত হলো। প্রথম খেলায় আফগানিস্তানের সঙ্গে ৪-০ গোলে হারার পর মালদ্বীপের কাছে ৩-১ গোলে লজ্জাজনক পরাজয় বাংলাদেশের সব সম্ভাবনাকেই কেড়ে নিয়েছে। ভারতের ত্রিবান্দ্রামে অনুষ্ঠিত সাফ শিরোপা লড়াইয়ে আফগানদের কাছে মোমিনুলদের পরাজয় ছিল যাচ্ছেতাই খেলার ফলশ্রুতি। আশা ছিল মালদ্বীপকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রাখার চেষ্টা হবে। কিন্তু মালদ্বীপ যোগ্য দল হিসেবে ৩-১ গোলে জিতে প্রমাণ করেছে এক সময় যাদের দুর্বল প্রতিপক্ষ বলে ভাবা হতো এখন তারা দাপটের সঙ্গেই জিততে জানে। খেলার ৪০ মিনিটে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। ৮৭ মিনিটের সময় বাংলাদেশ সমতা ফিরিয়ে আনলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ তিন মিনিটে দুই গোল হজম করে বাংলাদেশ লজ্জাজনক পরাজয়ের শিকার হয়। বাংলাদেশের স্ট্রাইকারদের খেলা দেখে মনে হয়েছে খাবার মুখে তুলে দেওয়া হলেও তা খাওয়ার যোগ্যতাও তারা রাখেন না। সাফে বাংলাদেশের এই পরাজয় অপরিকল্পিত ফুটবলের অনিবার্য পরিণতি। সাফল্য পেতে হলে গ্রাম-মহল্লা পর‌্যায়েই ফুটবলের চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। সাফল্যের এ পথ অনুসরণ করেই মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৪ দল আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। যে দলের সিংহভাগ খেলোয়াড়ই ময়মনসিংহের এক প্রত্যন্ত গ্রামের। ফুটবলে সাফল্য নিশ্চিত করতে গ্রাম ও শহর থেকে যে ফুটবল হারিয়ে যেতে বসেছে, তার চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল পর‌্যায়ে গড়ে তুলতে হবে দল। নিবিড় পরিচর‌্যার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা মালদ্বীপ, আফগানিস্তানের কাছ থেকে লজ্জা পাওয়ার নিয়তি এড়ানো যাবে না। আমরা আশা করব সাফ টুর্নামেন্টের ব্যর্থতা থেকে আমাদের ফুটবল সংগঠকরা শিক্ষা নেবেন। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাকে এগিয়ে নিতে গ্রহণ করবেন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। হতাশা ও লজ্জা থেকে বাঁচার সেটিই হবে প্রকৃষ্ট উপায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর