বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

থার্টিফার্স্ট ও বর্ষবরণ

উৎসবী পরিবেশ যেন ব্যাহত না হয়

পুরান বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে সারা দুনিয়াতেই আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে মানুষ। আমাদের দেশেও সে ধারাবাহিকতা অনুসৃত হয় নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এক সময় বর্ষ বিদায় ও নতুন বর্ষ আবাহনের প্রায় সব অনুষ্ঠানই ছিল চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে। কালের বিবর্তনে সে ঐতিহ্যের পাশাপাশি গ্রেগেরীয় ক্যালেন্ডারের বর্ষ বিদায় ও নববর্ষকে স্বাগত জানাতে মেতে উঠছে মানুষ। এ বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবন নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত হয়ে পড়ায় থার্টিফার্স্ট নাইট ও পহেলা জানুয়ারিকে নিয়ে মাতামাতি ক্রমেই বাড়ছে। তবে জঙ্গিবাদের হুমকি তথা নাশকতার ভয়ে এবার এ দুই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে যেসব বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা উত্সবী পরিবেশ ব্যাহত করবে কিনা সে প্রশ্নও কম নয়। আসন্ন ২০১৬ সাল আন্তর্জাতিক পর্যটন বছর হিসেবে পালিত হবে দেশে দেশে। পর্যটন ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ২০১৬ সালকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি কতটা এগিয়ে নেওয়া যাবে তা নিয়েও সংশয় কম নয়। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী থার্টিফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান না করার পরামর্শ দিয়েছেন। যে কোনো আনন্দ অনুষ্ঠানের আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হুমকির কথা মনে রেখেই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা সহজে অনুমেয়। জননিরাপত্তাকে সরকার সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেবে এমনটিই স্বাভাবিক এবং এটি যে কোনো বিবেচনায় যৌক্তিক। তবে নিরাপত্তার নামে যাতে উত্সবী পরিবেশের ব্যত্যয় না ঘটে সেদিকেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে নজর রাখতে হবে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণ করতে চায়। নিরাপত্তার কারণে উত্সবী মনোভাবে বাধা সৃষ্টি যেমন কাঙ্ক্ষিত নয়, তেমন থার্টিফার্স্ট নাইট কিংবা পহেলা জানুয়ারির নামে যা ইচ্ছা তাই করা কিংবা বেলেল্লাপনাও গ্রহণযোগ্য নয়।  এ উভয় প্রবণতা পাশ কাটিয়ে কীভাবে উত্সবী পরিবেশ বজায় রাখা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর