বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জঙ্গি দমনে বিশেষায়িত ইউনিট

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াবে

জঙ্গি দমনে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের উদ্যোগ একটি ইতিবাচক ঘটনা। কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম নামের এ বিশেষায়িত ইউনিট অচিরেই কাজ শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে এ ধরনের বিশেষায়িত ইউনিট রয়েছে এবং তাদের সাফল্যও চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশেও জঙ্গিবাদ দমনে একই ধরনের বিশেষায়িত ইউনিট গড়ে উঠলে একদিকে যেমন পুলিশের সক্ষমতা বাড়বে তেমন জননিরাপত্তাও অনেকাংশে নিশ্চিত হবে। বিশেষায়িত এই ইউনিট দেশের ও দেশের বাইরের জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে। তাদের অপতত্পরতা রোধে গতিবিধির ওপর নজর রাখবে এবং আইনের আওতায় আনবে। নতুন বছরের শুরুতেই পুলিশের এই বিশেষায়িত ইউনিট চালু হলে জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়বে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ এখন এক বিশ্বজনীন সমস্যা। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় দৃশ্যত সাফল্য দেখালেও তাদের কার্যত খালি হাতেই লড়তে হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ প্রশিক্ষণ যেমন নেই, তেমন জঙ্গি মামলা তদন্তেও যথাযথ সক্ষমতার অভাব রয়েছে। যেসব পুলিশ সদস্য হরতাল ডিউটি ও নাশকতা দমনে কাজ করছে, চোর ডাকাত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধেও তাদের কাজে লাগানো হচ্ছে, জঙ্গি দমনেও ব্যবহার করা হচ্ছে একই ব্যক্তিদের। জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে যারা দক্ষ হয়ে উঠছেন সমন্বয় না থাকায় তাদের হঠাত্ করে বদলি করা হচ্ছে অন্য সংস্থায়। ফলে জঙ্গিদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় নজরদারি ব্যাহত হচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট গড়ে উঠলে এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হবে। একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এই বিশেষায়িত ইউনিট এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ৬০০ সদস্য এতে সম্পৃক্ত হবে। জঙ্গি দমনে বিশেষায়িত ইউনিট গড়ে তোলার উদ্যোগ একটি প্রশংসনীয় ঘটনা। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এ ইউনিট ভূমিকা রাখবে আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

সর্বশেষ খবর