বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আবারও সেই পৈশাচিকতা

অপরাধীরা যেন রেহাই না পায়

নারায়ণগঞ্জে এক গার্মেন্ট কর্মকর্তার পায়ুপথে কমপ্রেসার মেশিনের হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা চেষ্টার দায়ে তার দুই সহকর্মীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার শিকার আবুল হোসেন নামের গার্মেন্ট কর্মকর্তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। এ সম্পর্কে ফতুল্লা থানায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে কারখানা ছুটির আগমুহূর্তে ডাইং সেকশনে কর্মরত জুনিয়র কিউসি আবুল হোসেনকে ধরে পায়ুপথে কমপ্রেসার মেশিনের হাওয়া প্রবেশ করায় অপর দুই জুনিয়র কিউসি মোতাহার হোসেন ও সাগর উদ্দিন। ফলে তার পেট ফুলে ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়। একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় আবুল হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কেন এ পৈশাচিকতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। ফতুল্লা থানার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মামলার পর অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পায়ুপথে কমপ্রেসার মেশিন দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যাচেষ্টা নিঃসন্দেহে এক পৈশাচিক ঘটনা। চলতি বছরের ৩ আগস্ট এ ধরনেরই এক ঘটনায় রাকিব নামের ১২ বছর বয়সী এক বালককে হত্যা করে খুলনার এক মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপ মালিক ও তার সহযোগী। সংঘটিত অপরাধের দুই মাস পর আদালত এ অপরাধের দায়ে ওয়ার্কশপ মালিক ও তার সহযোগীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। আশা করা হয়েছিল এই দৃষ্টান্তমূলক সাজা অপরাধীদের মনে ভয় ঢুকাবে এবং ভবিষ্যতে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য কেউ এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হতে ভয় পাবে। কিন্তু ফতুল্লার ঘটনা প্রমাণ করেছে বেপরোয়া মানসিকতার অধিকারী লোকজনের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। আমরা আশা করব যে কারণেই প্রতিহিংসাপরায়ণতার এ ঘটনা ঘটুক না কেন, অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সম্ভাব্য সব কিছুই করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর