বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
ইতিহাস

তৈমুরের সৈন্যবাহিনী

তৈমুরের সৈন্যবাহিনীতে সুসজ্জিত বর্মবৃত হস্তিবাহিনীও ছিল এবং এই বাহিনীর কাজ ছিল শত্রুর ওপর অগ্নিগোলক ও তীর নিক্ষেপ করা। এই সমরাভিযানে অংশগ্রহণ করেন তৈমুর স্বয়ং, তার পৌত্র পীর মুহম্মদ এবং প্রধান সেনাপতি নুরুদ্দীন। এদিকে তৈমুরের সমরাভিযানের সংবাদে বায়েজিদ কনস্টান্টিনোপলের অবরোধ তুলে এশিয়া মাইনরের দিকে অগ্রসর হলেন। বায়েজিদের সাহায্যের জন্য সার্বিয়ার সম্রাট স্টিফেনের নেতৃত্বে একটি বিশাল সৈন্যদল আটমান তুর্কি বাহিনীতে যোগদান করে। গ্রিস ও ওয়ালাচিয়া হতেও সৈন্য পাঠানো হয়। এর ফলে বায়েজিদের সৈন্যসংখ্যা দাঁড়ায় ২ লক্ষাধিক। ১৪০২ খ্রিস্টাব্দে তৈমুরের বাহিনীর সঙ্গে বায়েজিদের সেন্যবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয় আঙ্গোরা প্রান্তরে। এই যুদ্ধে বায়েজিদ শোচনীয়ভাবে পরাজিত ও বন্দী হন। অটমান তুর্কিদের বিপর্যয় তৈমুরের সামরিক শক্তির অপরাজেয়তা প্রমাণ করে এবং তৈমুর শৌর্য-বীর্যের পরাকাষ্ঠা দেখাইয়া এশিয়া মাইনরে স্বীয় আধিপত্য বিস্তারের চমত্কার সুযোগ লাভ করেন। তিনি অতি সহজেই ব্রুসা, নাইসিয়া এবং সার্না দখল করেন। এর ফলে সমগ্র এশিয়া মাইনর তৈমুরী সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলে আঙ্গোরা যুদ্ধের এক বছর পর ১৪০৩ খ্রিস্টাব্দে বায়েজিদ দেহ ত্যাগ করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর