মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
বিচিত্রিতা

চেঙ্গিস খান

বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ বীর হিসেবে ধরা হয় চেঙ্গিস খানকে। ১২১৭ সালে ৬৫ বছর বয়সে প্রাণ হারান এই মোঙ্গল বীর। প্রতিপক্ষের হাতে চেঙ্গিসের সমাধির অবমাননা হতে পারে এই ভয়ে তাকে কবর দেওয়া হয় গোপনীয়ভাবে। তার লাশের সঙ্গে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, রাষ্ট্রীয় দলিলের পাণ্ডুলিপি, বিভিন্ন শিল্পকর্ম ও সোনার তৈরি জিনিসপত্রও কবর দেওয়া হয়। প্রচলিত আছে, চেঙ্গিস খানের সঙ্গে ৪০ জন সুন্দরী রমণীকে এবং তার পছন্দের ঘোড়াগুলোকে কবর দেওয়া হয়। পশ্চিম চীনের জিজিয়া প্রদেশ অবরোধের সময় তিনি ঘোড়ার পিঠে থাকা অবস্থায় মারা যান। গোপনীয়তার জন্য তার লাশের শেষকৃত্য শোভাযাত্রার সামনে যাকে পাওয়া গেছে তাকেই হত্যা করা হয়। তবে চেঙ্গিসের এক উত্তরাধিকারী মোঙ্গল শাসক মংকের রেকর্ড আরও জাঁকালো। যার শবযাত্রার সময় ২০ হাজার লোককে প্রাণ হারাতে হয়। মোঙ্গলদের বিশ্বাস ছিল, এসব লোক এবং জ্যান্ত করব দেওয়া প্রাণীগুলো পরজীবনে সম্রাটের সেবা করবে। চেঙ্গিস খানের সমাধি আবিষ্কারের চেষ্টা কম হয়নি। এ প্রচেষ্টায় এ যাবৎ কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ব্যবহৃত হয়েছে বিমান, হেলিকপ্টারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এ জন্য যে কসরত করেছেন তার তুলনা নেই। মজার ব্যাপার হলো, মোঙ্গলরা চেঙ্গিস খানের সমাধিস্থল আবিষ্কারের চেষ্টাকে কখনো ভালো চোখে দেখেনি। এ ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে বিদেশিরা কার্যত কোনো সহযোগিতা পায়নি। তাদের বিশ্বাস, চেঙ্গিসের সমাধিস্থল আবিষ্কৃত হলে মোঙ্গলদের ওপর মহাদুর্যোগ নেমে আসবে। তারা মনে করে, যত চেষ্টাই চলুক কারোর পক্ষে এই গ্রেট খানের সমাধি আবিষ্কার করা সম্ভব হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর