শিরোনাম
বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

নাব্য সংকট

নদ নদী বাঁচাতে উদ্যোগ নিতে হবে

নাব্য সংকটে ভুগছে দেশের বেশির ভাগ নদ-নদী। শুষ্ক মৌসুমে অনেক নদীতেই পর্যাপ্ত পানি নেই। নদীতে পানি না থাকায় চাষাবাদে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এমনটিও আশঙ্কা করা হয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে। বিশেষত আসন্ন সেচ মৌসুমে তিস্তা উপত্যকার কৃষকদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে পানি সংকট। শুষ্ক মৌসুমে নদ-নদীতে পানির প্রবাহ অন্য সময়ের চেয়ে কম থাকে এবং এটিই প্রাকৃতিক নিয়ম। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের নদ-নদীতে পানির অভাব দেখা দিচ্ছে নানা কারণে। ভাটির দেশ বাংলাদেশের বেশির ভাগ নদ-নদী উজান থেকে আসা অভিন্ন নদ-নদীর পানি প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। ভারতে বাঁধ নির্মাণ ও জলবিদ্যুৎ তৈরির জন্য বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি প্রবাহের গতি ব্যাহত হচ্ছে। উজানে পানি প্রত্যাহার ভাটিতে শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার অভাবে বাংলাদেশের নদ-নদীর ধারণ ক্ষমতা প্রতিনিয়তই কমছে। নদীতে পলি পড়ে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। পানির অভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ হারিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা নদীতেও চলছে পানি সংকট। উজান থেকে আসা পানির চাপ হ্রাস পাওয়ায় দেশের উপকূলভাগের নদ-নদীতে লোনা পানির আগ্রাসন অনুভূত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় চাষাবাদের পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের নদ-নদীর পানি সংকটের পেছনে উজানে পানি প্রত্যাহার অনেকাংশে দায়ী। তবে এটিকে সংকটের একমাত্র কারণ বলার অবকাশ নেই। দেশের নদ-নদীর সুরক্ষায় নিজেদের ব্যর্থতার দায়ও কম নয়। দেশের নদ-নদীর স্বাভাবিক অবস্থা নিশ্চিত করতে উজানে পানি প্রত্যাহারের প্রবণতা রোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে দেনদরবার বাড়াতে হবে। অভিন্ন নদীর পানি ব্যবহারে দুই দেশের গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার কথা ভাবতে হবে। একই সঙ্গে নদ-নদীর নাব্যতা রক্ষায় নিতে হবে বহুমুখী উদ্যোগ। নদ-নদীগুলো দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ।  কৃষিনির্ভর দেশের চাষাবাদের স্বার্থে নদ-নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রেও যার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর