তোরা সব জয়ধ্বনি কর। জয়ধ্বনি করার মতোই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-২০ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে টাইগাররা। এশিয়া কাপের ফাইনালে এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার খেলার সুযোগ পাচ্ছে টাইগাররা। তবে এবারের সুযোগ তাদের কাছে অনেকটাই স্বপ্নের মতো। ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ শক্তিমান দলগুলোর কাতারে নিজেদের ঠাঁই করে নিলেও টি-২০তে পিছিয়ে। আফগানিস্তানের মতো নবীন দলও তাদের চেয়ে এগিয়ে। ২০১২ সালে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল ওয়ান ডে ক্রিকেটের টুর্নামেন্টে। এবার তারা ভারতের সঙ্গে ফাইনালে খেলবে টি-২০র আসরে। টি-২০তে র্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে পেছনের কাতারের দল হলেও এশিয়া কাপের শিরোপা জয়েরও স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয়ের ফলেই সে সাহস তারা দেখতে শুরু করেছে। বোলিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন সমীহ করার মতো দল। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে ততটা বলা না গেলেও বাংলাদেশ দলে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের অভাব নেই। হার না মানা মনোভাবে জেগে উঠলে ফাইনালে ভারতকে হারানো খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। তবে খেলার মাঠে লড়াইয়ের আগে টাইগারদের স্নায়ুর লড়াইয়ে জিততে হবে। হার কিংবা জিতের বিষয়টি মনে না রেখে স্বাভাবিক খেলাটি খেলতে হবে। বুধবার মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বোলিং বিস্ময় মুস্তাফিজুর খেলতে পারেননি ইনজুরির কারণে। তারপরও বাংলাদেশি বোলারদের কাছে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের অসহায় বলেই মনে হয়েছে। সাত উইকেট হারিয়ে তারা ১২৯ রান করতে পেরেছে সরফরাজের ৫৮ রান ও মালিকের ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংসের কারণে। যে দল প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান করেছে ২০ ওভার শেষে তাদের ১২৯ রান করা সম্ভব হয়েছে শেষের দিকের দুই ব্যাটসম্যানের দাপুটে মনোভাবের জন্য। বাংলাদেশ দলের সৌম্য সরকার দৃষ্টিনন্দন ৪৮ রান করে টাইগারদের ঝড়ো উত্থানের জানান দিয়েছেন। টি-২০র এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে টাইগাররা প্রমাণ করেছে ছোট ক্রিকেটের রাজত্বেও তারা এখন অচ্ছ্যুৎ নয়। ফাইনালে তারা শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়বে আমরা এমনটিই দেখতে চাই। মাশরাফি বাহিনীকে আমাদের অভিনন্দন।