শিরোনাম
রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা

আইনশৃঙ্খলার লাগাম টেনে ধরুন

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা দানা বেঁধে উঠছে। ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। ইউনিয়ন পরিষদ হলো তৃণমূল পর্যায়ের স্থানীয় সরকার। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এ স্থানীয় সরকারের সম্পর্ক শুধু ঘনিষ্ঠই নয়, আবেগও জড়িত। সমাজের ভালো মানুষের পাশাপাশি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মামলাবাজ এমনকি জলদস্যুরাও অংশ নেয় নির্বাচনে। সজ্জন প্রার্থীরা জনসমর্থনকে নির্বাচনে জেতার ভরসা বলে ভাবলেও দুর্জনরা পেশিশক্তি ও কালো টাকাকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার মাধ্যম হিসেবে ভাবতেই অভ্যস্ত। যে কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংঘাত এড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সংঘাত-সংঘর্ষ নির্বাচনের অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও অভিন্ন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো প্রথম দিকে নমনীয় দৃষ্টিতে দেখায় দুর্বিনীতরা যা ইচ্ছা তাই করার সাহস পাচ্ছে। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে হানাহানি। দুই প্রধান দলের কোন্দলও এর ফলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরকারি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বিপুল। মাঠ পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় দলীয় কোন্দল ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক বেশির ভাগ সংঘর্ষকে দেখা হচ্ছে দলীয় কোন্দলের পরিণতি হিসেবে। বিরোধী দল মাঠছাড়া হলেও তা সরকারি দলের জন্য সুখ বয়ে আনতে পারেনি নিজেদের মধ্যে হানাহানি দানা বেঁধে ওঠায়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন সফল না হলে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা আরও বেড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। নির্বাচন হলো জনগণের উৎসব। সন্ত্রাস ও ভয়ভীতি প্রদর্শন সে উৎসবী পরিবেশকে ম্লান করে। নির্বাচনের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতেই হানাহানির যে কোনো অভিযোগকে আমলে নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আন্তরিক হতে হবে।  ভোটাররা যাতে কোনো ধরনের ভয়ভীতি ও চাপ ছাড়াই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থেই আইনশৃঙ্খলার রাশ টেনে ধরবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর