শিরোনাম
শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

মহাসড়কে যানজট

লক্কড়-ঝক্কড় যান চলাচল বন্ধ হোক

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ যানজটের অবতারণা ঘটেছিল বুধবার মধ্য রাতে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা হাজার হাজার যাত্রী জিম্মি হয়ে পড়েছিল সেই সর্বনাশা যানজটের কাছে। মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কীতে একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়লে যানজটের সূত্রপাত ঘটে। প্রায় একই সময়ে মহাসড়কের ইসলামপুর ও রামনায় মাটি ভর্তি আরও দুটি ট্রাক বিকল হয়। পরিণতিতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে যানজটের আগ্রাসন। কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার এলাকায় তা বিস্তার লাভ করে। লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা ট্রাক চলাচল কী ধরনের বিপর্যয় ঘটাতে পারে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আলোচ্য যানজট যেন তারই প্রমাণ। দেশের প্রায় সর্বত্র মাটি পরিবহনের জন্য যেসব ট্রাক ব্যবহৃত হয় তার শতভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা এসব ট্রাক বিনা নোটিসে হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে মাঝপথে। মাটিভর্তি ট্রাক মহাসড়কের মাঝপথে বিকল হয়ে পড়লে তা অপসারণে অনেক সময় লাগে। বিকল গাড়ি সরানোর জন্য পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সুবিধার অভাবে যানজট অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। শুধু মাটি পরিবহনকারী ট্রাক নয়, সারা দেশে যেসব বাস-ট্রাক চলে তার বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। উেকাচের বদৌলতে গাড়ি মালিকরা এর একাংশের ফিটনেস সার্টিফিকেট জোগাড় করে— এমন অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। এ অসৎ প্রক্রিয়া বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের পকেট সমৃদ্ধি করলেও সাধারণ মানুষের সর্বনাশ ডেকে আনে। বিশেষত মহাসড়কের যানজট পণ্য আনা-নেওয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে অর্থনীতির বারোটা বাজায়। দেশের মহাসড়কগুলো শুধু নয়, রাজধানীসহ বড় বড় নগরগুলোতেও নক্কড়-ঝক্কড় মার্কা গাড়ি একই সমস্যা সৃষ্টি করছে। যানজটের কবল থেকে রক্ষা পেতে হলে এ ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। বন্ধ করতে হবে উেকাচের বিনিময়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার অলিখিত নিয়ম।

সর্বশেষ খবর