সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

দুঃস্বপ্ন কেটে যাক

দেশবাসীকে টাইগারদের পাশে থাকতে হবে

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন হতাশাজনকভাবে শেষ হলো। প্রতিটি খেলায় হারের মধ্য দিয়ে শূন্য হাতেই তাদের দেশে ফিরতে হলো। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ান ডে ও টেস্ট ক্রিকেটে চোখে পড়ার মতো এগিয়েছে। বিশ্বের প্রায় সব দলকেই এ সময়ে হারানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছে টাইগাররা। কিন্তু ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ভার্সনে প্রথম থেকেই দুর্বল দল হিসেবে ভাবা হয় বাংলাদেশকে। বিগত এশীয় ক্রিকেটে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতেও নিজেদের উত্থানের জানান দেয়। আশা করা হয়েছিল, টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু বিশ্বকাপজুড়ে দুর্ভাগ্য যেন বাংলাদেশকে পেয়ে বসেছিল। প্রথম খেলায় পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হারে অপ্রত্যাশিত ব্যবধানে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় বোলিংয়ের ক্ষেত্রে টাইগারদের বড় ভরসা তাসকিন ও আরাফাত সানির নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা। এরপর যেন মানসিকভাবেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে জিততে জিততে হেরে বসে তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাংলাদেশ দল হারলেও তাদের লড়াকু মনোভাব প্রশংসা কুড়িয়েছে। আশা করা হয়েছিল, কলকাতার ইডেন মাঠে শেষ খেলায় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অন্তত খালি হাতে ফেরার দুর্ভাগ্য এড়ানোর সুযোগ পাবে। কিন্তু শেষ খেলায় টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়ে মুস্তাফিজ ৫ উইকেট লাভ করলেও এ খেলায় তাদের হারতে হয়েছে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে। মাত্র ৭০ রানে টাইগারদের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। এ লজ্জা মুস্তাফিজের বোলিং গৌরবকে অনেকখানিই ম্লান করেছে। টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ ব্যর্থ হলেও আমরা টাইগারদের সঙ্গে থাকতে চাই। অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে যে কোনো বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হয়। আমরা আশা করব বিশ্বকাপের দুঃস্বপ্নকে ঝেড়ে ফেলে টাইগাররা আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেবে। অধ্যবসায়ের মাধ্যমে প্রমাণ করবে আগামী দিনগুলো শুধুই তাদের। প্রিয় দলকে শক্তি জোগাতে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে টাইগারদের পাশে থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর