শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

আউশ চাষে প্রণোদনা

ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিও নিশ্চিত হোক

আউশ ধান চাষে উৎসাহ জোগাতে ২ লাখ ৩১ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেবে সরকার। গত রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, এ উদ্দেশ্যে ৩৩ কোটি ৬২ হাজার ২৩৫ টাকা প্রদান করা হবে। দেশের উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, বরেন্দ্র অঞ্চলের যেখানে সেচের সুব্যবস্থা নেই সেসব এলাকা এবং দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় আউশের বিভিন্ন জাতের চাষ জনপ্রিয়করণে এ অর্থ ব্যয় হবে। প্রণোদনার অর্থ দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৬৩ বিঘা জমির জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। এ প্রণোদনার সুবিধা পাবেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৬৩ জন কৃষক। প্রতি কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি করে উফশী আউশ ধানের বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার ও সেচ বাবদ ৪০০ টাকা পাবেন। এ ছাড়া ১ বিঘা জমির জন্য প্রতি কৃষক পাবেন ১০ কেজি নেরিকা আউশ ধানের বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, সেচ বাবদ ৪০০ টাকা এবং আগাছা দমন বাবদ ৪০০ টাকা। আশা করা হচ্ছে, প্রণোদনার সিদ্ধান্ত কৃষকদের আউশ চাষে উৎসাহিত করবে। আমন ও বোরো ফসলের পাশাপাশি আউশ ধানের চাষ সম্প্রসারিত হলে দেশের ধান উত্পাদন উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ানো সম্ভব হবে। ধান উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা ধরে রাখা সম্ভব হবে। আউশ চাষে প্রণোদনাদানের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত হলেও শুধু এ দায়িত্ব পালন করেই ধান চাষিদের উৎসাহ ধরে রাখা সম্ভব হবে না। উত্পাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতেও উদ্যোগী হতে হবে। দেশে চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও বিদেশ থেকে চাল আমদানি কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সরকারের ধান-চাল ক্রয়নীতির মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি থাকায় তা বহু ক্ষেত্রে কৃষকের কোনো উপকারে আসছে না। এ ব্যাপারেও তীক্ষ নজর দিতে হবে। কৃষকের কঠোর পরিশ্রমের কারণেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এ সাফল্য ধরে রাখতে হলে উত্পাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর