বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা
পাঠক কলাম

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নজর দিন

সাভারে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও জননিরাপত্তা রক্ষায় কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না। ডাকাতির লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরও মামলা হিসেবে না নেওয়ার বিষয়টি নানা প্রশ্ন সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাভারে যেসব ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্ত্রীর প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনাও রয়েছে। এক পুলিশ কর্মকর্তার বাসায়ও হানা দেয় ডাকাতরা। অথচ এসব ব্যাপারেও থানায় মামলা হয়নি। অন্য ডাকাতির ঘটনাগুলোতে মামলা না হওয়ার বিষয়টি সঙ্গত কারণেই গুরুত্ব পাওয়ার কথা নয়। সাভার থানার দায়িত্বপ্রাপ্তরা ডাকাতির ঘটনাকে চুরি বলে অভিহিত করে দায় এড়াতে চাচ্ছেন। তাদের দাবি এ বিষয়ে কেউ নাকি অভিযোগই করেনি। সাভারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরেই ভালো নয়। এই ভালো না থাকার পিছনে পুলিশের কোনো কোনো সদস্যের দায়িত্বহীন আচরণ যে দায়ী এমন অভিযোগ প্রবল। সাভার থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা ভালো দেখাতে তারা ডাকাতি ছিনতাইসহ গুরুতর অপরাধের মামলা নিতে চান না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ অকাম্য মানসিকতা প্রকারান্তরে অপরাধীদেরই সুবিধা করে দিচ্ছে। সংসদ সদস্যের স্ত্রীর প্রতিষ্ঠান, পুলিশ কর্মকর্তা এমনকি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাসায় ডাকাতি করেও ডাকাতরা পার পেয়ে যাচ্ছে। সাভারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ডাকাতি ছিনতাইসহ এ ধরনের অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তত্পর হতে হবে। জননিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশি প্রহরা বাড়াতে হবে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। রাজধানীর বর্ধিষ্ণু অংশ সাভার অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে তা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা আশা করব সাভারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন মহল নজর দেবে। কেন ডাকাতির ঘটনার পরও মামলা হয় না সে রহস্য উন্মোচনের প্রয়াস চালানো হবে।  আইনশৃঙ্খলার বেহাল অবস্থা পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকলেও দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মো. আরিফুজ্জামান মোল্লা।

সর্বশেষ খবর