শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

উড়ালসড়কের উদ্বোধন

প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ক্ষেপণ এড়াতে হবে

মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কের একাংশ গত বুধবার খুলে দেওয়া হয়েছে যান চলাচলের জন্য। ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কের সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ায় রাজধানীর ব্যস্ত এ সড়কটির একাংশ যানজটের হাত থেকে রক্ষা পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতরাস্তা অংশে ফলক উন্মোচন করে উড়ালসড়কের ওপর দিয়ে হলি ফ্যামিলি প্রান্তে পৌঁছান। ২০১৩ সালে রাজধানীর এ গুরুত্বপূর্ণ উড়ালসড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা অজুহাতে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে নির্মাণ ব্যয়, যা শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ২১৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে। মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কের উদ্বোধন করা অংশের নির্মাণকাজের দায়িত্বে ছিল ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান নাভানা কনস্ট্রাকশন। অন্য দুই অংশের নির্মাণ কাজে জড়িত চীনের এমসিসিসি ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন। রাজধানীর ব্যস্ত এলাকা মগবাজার-মৌচাকের ওই উড়ালসড়কটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে শুধু সংশ্লিষ্ট এলাকা নয়, রাজধানীর এক বড় অংশের যানজট হ্রাস পাবে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী

সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আট কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর পর এর পুরো সুফল ভোগ করা যাবে। আগামী জুনে উড়ালসড়কের বাংলামোটর-মৌচাক অংশ এবং ডিসেম্বরে মৌচাক-আবুল হোটেল অংশ চালু করা যাবে। এফডিসিমুখী সড়কটির কাজ শেষ না হওয়ায় ওই অংশটি অব্যবহৃত থাকবে। রাজধানীর যানজট নিরসনে একের পর এক উড়ালসড়ক নির্মাণ বর্তমান সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। তবে সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যর্থতা একদিকে যেমন নির্মাণকালীন ভোগান্তি বৃদ্ধি করছে, তেমনি অপচয় হচ্ছে সরকারি অর্থ।  ভবিষ্যতে রাজধানীর উড়ালসড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে এ বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করা হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর