রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাজধানীর উন্নয়ন

সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নও কাম্য

রাজধানী ঢাকার পরিচিতি যানজটের নগরী হিসেবে। যানজটের কারণে অচল নগরীতে পরিণত হয়েছে দেড় কোটি মানুষের এই মেগাসিটি। এই দুর্নাম ঝেড়ে ফেলাকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। রাজধানীজুড়ে চলছে যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প। প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্বে রাজধানীর যানজট যেমন বেড়েছে তেমন বেড়েছে জনদুর্ভোগ। তবে আশা করা হচ্ছে, চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে অস্বস্তির ঢাকা অনেকটাই স্বস্তির নগরীতে পরিণত হবে। বদলে যাবে চিরচেনা ঢাকার বেহাল চিত্র। একের পর এক ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে রাজধানীতে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পর গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত ৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে উঠবে। ফলে উত্তরবঙ্গের যানবাহনগুলো রাজধানীর মাটি স্পর্শ না করেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলে যেতে পারবে ঢাকার ওপর দিয়ে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ২০১৯ সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। র‌্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ কিলোমিটার। বিমানবন্দর সড়ক থেকে আশুলিয়ার পাশ দিয়ে চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এলাকার নিত্য ভোগান্তি থেকে রক্ষা করেছে নগরবাসীকে। কুড়িল-বিশ্বরোড ফ্লাইওভারের কারণে সন্নিহিত এলাকার প্রতিদিনের ভোগান্তি এখন আর নেই। মিরপুর-বিমানবন্দর রোডের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের কারণে বদলে গেছে রাজধানীর মধ্যাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুরের যাত্রীরা এখন সহজেই বারিধারা, নিকুঞ্জ, উত্তরা, গাজীপুরে যেতে পারছেন। মৌচাক-মগবাজার, ফ্লাইওভারের একাংশ ইতিমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অংশ থেকে যানজট ইতিমধ্যে উধাও হয়েছে। মেট্রোরেলের প্রথম পর্যায়ের কাজ চলতি মাসেই উদ্বোধন করা হবে। যানজট নিরসনে রাজধানীতে দুই ডজন ইউলুপ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে উত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন। দুটি পাতাল রেলপথ নির্মাণেরও পরিকল্পনা নিচ্ছে সেতু বিভাগ। রাজধানীর যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলো যে আশাজাগানিয়া সন্দেহ নেই।  তবে এগুলো যাতে সময়মতো বাস্তবায়িত হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর