বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

ফেরেশতারা মহান আল্লাহর দূত

মাওলানা মুহম্মাদ আবদুল খালেক

ফেরেশতারা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দূত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সৃষ্ট বিশ্ব জগতের সেবক। সর্বক্ষণ আল্লাহর হুকুম পালনে নিয়োজিত ফেরেশতারা। ফেরেশতাদের সম্পর্কে বিশ্বাস স্থাপন ইমানেরই অংশ। ফেরেশতারা নিজের ইচ্ছায় কিছু করেন না। আল্লাহর প্রশংসা করা, তার ইবাদতে নিজেদের নিয়োজিত রাখা এবং আল্লাহর হুকুম নিঃসংকোচে তালিম করার মধ্যে ফেরেশতারা নিয়োজিত থাকেন। প্রধান ফেরেশতা চারজন। জিবরাঈল (আ.), মিকাঈল (আ.), আজরাঈল (আ.) ও ইসরাফিল (আ.)। জিবরাঈল আল্লাহর বাণী নবী-রসুলের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বাণী পৌঁছানোর মাধ্যমে তার দায়িত্ব শেষ হয়েছে। মিকাঈল (আ.) আল্লাহর সৃষ্টি জগতের প্রতিটি প্রাণীর জীবিকা ভাগ-বণ্টনের দায়িত্ব ও বৃষ্টিবর্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত। আজরাঈল (আ.) সব প্রাণীর জান কবজ করার দায়িত্বে এবং ইসরাফিল (আ.) আল্লাহর হুকুমের অপেক্ষায় শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়ার জন্য। তিনি শিঙ্গায় ফুঁ দিলে সমস্ত পৃথিবী আল্লাহর হুকুমে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। বাকি সব ফেরেশতা আল্লাহ নিয়োজিত দায়িত্বে ব্যস্ত আছেন।

প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টির আগে আল্লাহ ফেরেশতাদের সে সম্পর্কে অবহিত করেন। ফেরেশতারা মানব সৃষ্টির প্রস্তাবনায় তাদের আপত্তি তুলে ধরেন। পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘সেই সময়ের কথা স্মরণ কর যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন— আমি পৃথিবীতে একজন খলিফা নিযুক্ত করতে ইচ্ছুক। তারা বলল, হে আল্লাহ! আপনি কি এমন কাউকে সৃষ্টি করতে চান যে জমিনে বিশৃঙ্খলা করবে এবং রক্তপাত করবে, বরং আমরাই আপনার তাসবিহ পাঠ করি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আল্লাহ বললেন, আমি যা জানি তোমরা তা জান না।’ (সূরা বাকারা : ৩০)। প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর আল্লাহ তাকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে সম্মানীত করেন এবং আদম (আ.)-কে সিজদা করার জন্য ফেরেশতাদের নির্দেশ দেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ করা হয়েছে— আর স্মরণ কর সেই সময়ের কথা, যখন ফেরেশতাগণকে বললাম— তোমরা আদমকে সিজদা কর, ফলে তারা সবাই (আদমকে) সিজদা করল। (সূরা আল বাকারা : ৩৪)।

     লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর