বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই

দুদককে মদদ জোগাতে এগিয়ে আসুন

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের লড়াই দৃশ্যমান হতে চলেছে। নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে দুদকের অভিযান। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযান শুরুর দুই সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দফতরের ৫৩ জন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে আরও দুই শতাধিক ব্যক্তির তালিকা। ৩২ ব্যাংকার ও ১৯ ব্যবসায়ীসহ শতাধিক ব্যক্তির দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দুর্নীতির কবল থেকে জাতিকে রেহাই দেওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে গঠিত হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতায় এ স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের অর্জন সত্যিকার অর্থেই কম। দেরিতে হলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের সক্রিয় হওয়া সে অর্থে আশাজাগানিয়া ঘটনা। ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি নিয়ে তাদের সক্রিয় হওয়া দুদক সম্পর্কে মানুষের আস্থা যেমন বাড়াবে তেমন দুর্নীতিবাজদের মনে কিছুটা হলেও ভয় ঢুকাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। দুর্নীতির কারণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সেবা পাওয়া মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে। জনগণের কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সুফল তাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা পাওয়া দায় হয়ে পড়েছে দুর্নীতির বর-পুত্রদের কারণে। ঘুষ দুর্নীতির থাবা ভাঙতে দুদকের সক্রিয় হয়ে ওঠার ঘটনা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হ্রাসে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষত, ব্যাংকিং খাতকে ফোকলা করার জন্য দায়ী ‘বাগদাদের চোর’দের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান দেশবাসীর কাছে অভিনন্দিত হবে এমনটিই প্রত্যাশিত। আমরা আশা করব দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান নিছক বাহাবা অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হবে না। যেখানে দুর্নীতি সেখানেই দুদক এমন প্রত্যয়ী মনোভাবের পরিচয় দিয়ে তারা নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেবেন দেশের মানুষ এমনটিই দেখতে চায়। দুর্নীতি জাতির সব অর্জনকে কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ষড়যন্ত্র রোধে দুদকের সাহসী ভূমিকাকে মদদ জোগাতে সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে আসবেন এমনটিও কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর