শিরোনাম
শুক্রবার, ৬ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

কুয়েতি প্রধানমন্ত্রীর সফর

নতুন মাত্রায় উন্নীত হলো দুই দেশের সম্পর্ক

কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ জাবের আল সাবাহর তিন দিনের বাংলাদেশ সফর দুই ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা দান করেছে। এ সফরকালে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সামরিক প্রশিক্ষণ, ভিসা সহজীকরণ এবং পাঁচ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে দুটি দেশ। বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্ব সময়ের বিচারে উত্তীর্ণ হওয়ার কৃতিত্বের দাবিদার। উপসাগরীয় এলাকার এ তেলসমৃদ্ধ দেশটি বাংলাদেশি কর্মজীবীদের অন্যতম শ্রমবাজার হিসেবে বিবেচিত। নব্বই দশকে ইরাকি আগ্রাসনের মুখে কুয়েতের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যখন বিপন্ন তখন বাংলাদেশ সৈন্য পাঠিয়েছিল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে। আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশ পালন করেছে অভিন্ন ভূমিকা। কুয়েতি প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রেক্ষিতে উভয় দেশ চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থাকে তারা মানবতাবিরোধী ও মুসলিম বিশ্বের সংহতির পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন। দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কুয়েতি প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর তাত্পর্যের দাবিদার। সফরকালে পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণে কুয়েত ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের ১৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিনারের ঋণ দানের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশে কুয়েতি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঐকমত্য। এ সফরের ফলে কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মজীবীদের কাজের সুযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা বিশেষত বাংলাদেশে কুয়েতি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের দ্বার খুলে দিয়েছে এই সফর। বাংলাদেশে কুয়েতি বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশই লাভবান হতে পারে। কুয়েতি প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে দুই দেশকেই যত্নবান হতে হবে। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে কুয়েতি বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। যা কাজে লাগাতে পারলে দুটি দেশই লাভবান হবে।  আমরা আশা করব এ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করবে। দুই শান্তিবাদী দেশের সহযোগিতা বিশ্বশান্তি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যে প্রেরণা হয়ে দেখা দেবে এমনটিও কাম্য।

সর্বশেষ খবর