শনিবার, ৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

দক্ষিণডিহিতে রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

আবুসালেহ সেকেন্দার

দক্ষিণডিহিতে রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর এবং কুষ্টিয়ার শিলাইদহের মতো খুলনা জেলার ফুলতলা থানার দক্ষিণডিহির সঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে ফুলতলার দক্ষিণডিহির সঙ্গে কবিগুরুর সম্পর্ককে অন্য স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোর সঙ্গে এক করে দেখার সুযোগ নেই। দক্ষিণডিহির সঙ্গে কবির আত্মার সম্পর্ক। আত্মীয়তার সম্পর্ক। এই গ্রামেই জন্মেছিলেন কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সেরেস্তার ১২ টাকা মাইনের কর্মচারী বেণীমাধব ও গৃহিণী মাতা দাক্ষায়ণীর প্রথম সন্তান ফুলি ওরফে ভবতারিণীই রবীন্দ্রনাথের মৃণালিনী। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর কবি বরীন্দ্রনাথের সঙ্গে ভবতারিণীর বিবাহ সম্পন্ন হয় কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। বিয়ের পর কবির নামের সঙ্গে মিলিয়ে ভবতারিণীর নাম রাখা হয় মৃণালিনী। তবে মৃণালিনীর সঙ্গে বিবাহ ঠিক করা হয় দক্ষিণডিহিতে। কবি সেই সময় তার অন্য আত্মীয়দের সঙ্গে দক্ষিণডিহিতে উপস্থিত ছিলেন। ইন্দিরা দেবী লিখেছেন, পূর্বপ্রথানুসারে রবিকাকার কনে খুঁজতেও তার বউঠাকুরাণীরা, তার মানে মা আর নতুন কাকিমা, জ্যোতিকাকামশায় আর রবিকাকাকে সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যশোর যাত্রা করলেন।... আমরা দুই ভাইবোনও সে যাত্রায় বাদ পড়িনি। (রবিজীবনী, আনন্দ, কলকাতা, ২০০৬, পৃ. ১৭৭)।

রবীন্দ্রনাথের পথধূলি দক্ষিণডিহিতে পড়লেও এই স্থানটি বহু বছরই ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। খুলনার সন্তান সাংবাদিক সুমন পালিতের ‘দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স ও রবীন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি উপাখ্যান’ প্রবন্ধে থেকে জানা যায় যে, দক্ষিণডিহিতে রবীন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি কয়েক যুগ ধরে ছিল পরিত্যক্ত। মতলববাজরা স্মৃতিমণ্ডিত এ বাড়িটি অপদখলে আনতে সক্ষম হয়। ১৯৯৩ সালের দিকে ফুলতলার কৃতী সন্তান সাংবাদিক বিধান দাশগুপ্ত ‘কালের অতলে হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাস : বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত শ্বশুরবাড়ি বেদখল’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকে প্রকাশ হওয়ার পর কবির স্মৃতিবিজড়িত দক্ষিণডিহি সংরক্ষণে প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র কমপ্লেক্স। তবে ওই দক্ষিণডিহি আবিষ্কারের কলম্বাসরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আজও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। এই কমপ্লেক্সকে ঘিরে বলার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়নি চোখে পড়ার মতো। কেবলমাত্র প্রতি বছর কবির জন্মবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে আলোচনা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলার মধ্যেই এই কমপ্লেক্সের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ।

দুই. শিলাইদহ, শাহজাদপুর অথবা পতিসরের মতো দক্ষিণডিহিকে নিয়ে কেন যেন গণমাধ্যমের তেমন কোনো মাতামাতি নেই। প্রতি বছর রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নিয়ে জাতীয় পত্রিকা ও সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশনে যত সংবাদ প্রচার করা হয়, সেখানে দক্ষিণডিহির নামগন্ধও থাকে না। দক্ষিণডিহিতে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালনের প্রস্তুতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশনেরও কোনো সংবাদ প্রচারিত হয় কালেভদ্রে। শিলাইদহ, শাহজাদপুর অথবা পতিসরের রবীন্দ্র মেলা নিয়ে যত সংবাদ প্রকশিত হয় সেই বিবেচনায় দক্ষিণডিহির সংবাদ থাকে নামকাওয়াস্তে। প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যমগুলোর দক্ষিণডিহির প্রতি এই অবহেলাও কবির স্মৃতিবিজড়িত অন্য স্থানগুলোর উন্নয়ন-অগ্রগতি থেকে দক্ষিণডিহির পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

অবশ্যই এক্ষেত্রে রবীন্দ্রগবেষকদের দায়ও কম নয়। কারণ তারা দক্ষিণডিহির সঙ্গে কবির সরাসরি স্মৃতি রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি আজও স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারেননি। যদিও অন্য স্থানগুলোর মতো দক্ষিণডিহিতেও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদধূলি পড়েছে। অবশ্যই অনেক রবীন্দ্রগবেষক মৈত্রেয়ী দেবীর উদ্ধৃতি দিয়ে মনে করেন, রবীন্দ্রনাথ কখনো দক্ষিণডিহিতে যাননি। আর যারা দুই-এক লাইনে কবি দক্ষিণডিহিতে গিয়েছেন বলতে চেয়েছেন, তারাও যে তাদের সেই বক্তব্য জনসম্মুখে জোরালোভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন এমন নমুনা খুঁজে পাওয়া কঠিন। যদিও শিলাইদহ, শাহজাদপুর অথবা পতিসরের মতো দক্ষিণডিহিতে রবীন্দ্রনাথ গিয়েছেন সেই বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবেই সত্য।

মৈত্রেয়ী দেবীর সব বক্তব্যকে রবীন্দ্রগবেষকরা গ্রহণ করেননি। দক্ষিণডিহিতে রবীন্দ্রনাথ যাননি বলে তিনি যে মন্তব্য করেছেন সেই বিষয়টিও আমরা গ্রহণ করতে চাই না। কারণ রবীন্দ্রনাথ দক্ষিণডিহি গিয়েছিলেন সেই বিষয়টি অন্য ঐতিহাসিক সূত্রে আমরা পেয়েছি। আধুনিক গবেষক সমীর সেনগুপ্ত তার ‘রবীন্দ্রনাথের আত্মীয়স্বজন’ গ্রন্থে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন। তিনি দক্ষিণডিহিতে রবীন্দ্রনাথ গিয়েছিলেন এমন মতের পক্ষেই যুক্তি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “মৈত্রেয়ী দেবী রবীন্দ্রনাথের কাছে শোনা বলে যে সাক্ষ্য উপস্থিত করেছেন তার সঙ্গে এই বর্ণনার (রবীন্দ্রনাথের পাত্রী দেখতে যারা গিয়েছিলেন তাদের বর্ণনার) কিছু অমিল দেখা যায়। রবীন্দ্রনাথ তাকে (মৈত্রেয়ী দেবীকে) বলেছিলেন, ‘আমার বিয়ের কোনো গল্প নেই। বৌঠানরা যখন বড় বেশি পীড়াপীড়ি শুরু করেন, আমি বললুম, তোমরা যা হয় কর, আমার কোনো মতামত নেই। তারাই যশোরে গিয়েছিলেন আমি যাইনি।’ কিন্তু ইন্দিরা দেবীর বর্ণনা অনুসারে রবীন্দ্রনাথও যশোরে গিয়েছিলেন, তার কথাই অধিকতর নির্ভরযোগ্য বলে মনে হয়।” (সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ২০০৮, পৃ. ২১৩)।

সমীর গুপ্তের এই বক্তব্য অধিকতর গ্রহণযোগ্য এই কারণে যে, বরীন্দ্রনাথের মেয়ে দেখতে যারা যশোরে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ইন্দিরা দেবীও ছিলেন। তৎকালীন সময়ে ফুলতলার দক্ষিণডিহি যশোর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর এই যশোরের দক্ষিণডিহিতেই ইন্দিরা দেবীরা কবির জন্য পাত্রী দেখতে এসেছিলেন। ইন্দিরা দেবীর বক্তব্য অনুসারে এই পাত্রী দেখতে রবীন্দ্রনাথও যশোরে তথা দক্ষিণডিহিতে এসেছিলেন। রবীন্দ্রগবেষক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে পূজার ছুটিতে জ্ঞানদানন্দিনী দেবী উৎসাহী হয়ে বাস্তুভিটা দেখার অজুহাতে যশোহর জেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামে যান, উদ্দেশ্য কাছাকাছি পিরালী পরিবারের মধ্য হতে বধূ সংগ্রহ। জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর সঙ্গে কাদম্বরী দেবী, বালিকা ইন্দিরা, বালক সুরেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ চললেন পুরনো ভিটা দেখতে। সেই সময়ে ফুলতল্লি (ফুলতলা) গ্রামের বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীকে তারা দেখেন, রবীন্দ্রনাথ দেখেছিলেন কিনা জানি না। (রবীন্দ্রজীবনী, বিশ্বভারতী গ্রন্থ বিভাগ, কলকাতা, ১৯০৭, পৃ. ১৯২)। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যে তাদের সঙ্গে ছিলেন সেই বিষয়টি এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। অর্থাৎ তিনি ভবতারিণীকে দেখেছিলেন কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ থাকতে পারে। কিন্তু তিনি যে দক্ষিণডিহিতে এসেছিলেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ইন্দিরা দেবীর বর্ণনায়ও এই বিষয়টি স্পষ্ট। বরীন্দ্রনাথের এই যশোর যাত্রা তথা দক্ষিণডিহিতে আগমনের বিষয়টি কলকাতায় ফিরে প্রিয়নাথ সেনকে যে পত্র লেখেন তাতেও উল্লেখ রয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমরা মাঝে যশোর বেড়াতে গিয়েছিলাম। সম্প্রতি যশোর থেকে এসেছি...।’ (চিঠিপত্র-৮, পত্র ১০, পৃ. ১০)। অথচ মৈত্রেয়ী দেবী বলছেন রবীন্দ্রনাথ যশোরেই যাননি।

অনেকে হয়তো বলতে পারেন, তিনি যশোর গেলেও দক্ষিণডিহি যাননি। কিন্তু তার এই ‘আমরা’ যশোর বেড়াতে গিয়েছিলাম এবং যশোর থেকে এসেছি বক্তব্যের ‘আমরা’ শব্দটিই বলে দিচ্ছে যে, তিনি দক্ষিণডিহি গিয়েছিলেন। তিনি জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর পুরো ভ্রমণের সময় তার সঙ্গে ছিলেন এবং একসঙ্গেই কলকাতায় ফিরেছেন বলেই ‘আমরা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আর জ্ঞানদানন্দিনী দেবী ও তার সফরসঙ্গীরা যেহেতু ওই সফরে দক্ষিণডিহি গিয়েছিলেন এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাই বরীন্দ্রনাথও যে দক্ষিণডিহি গিয়েছেন তাতে আর কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। প্রশান্তকুমার পালের মতে, ‘যশোরে অবশ্যই তিনি গিয়েছেন, কিন্তু মত দিয়েছিলেন বউঠাকুরানীরা।’ (রবিজীবনী, আনন্দ, কলকাতা, ২০০৬, পৃ. ১৭৮)। এই বক্তব্য থেকেও রবীন্দ্রনাথের দক্ষিণডিহি আগমনের বিষয়টি স্পষ্ট। রবীন্দ্রনাথ বহুবারই খুলনায় এসেছেন। তাই তার দক্ষিণডিহিতে আসা অসম্ভব এমনটি নয়।

তিন.

 

 

রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িকে কেন্দ্র করে শান্তিনিকেতনের আদলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শাহজাদপুরের পাশাপাশি কুষ্টিয়ার শিলাইদহেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। কবিগুরুর ১৫৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তিনি এমন দাবি উত্থাপন করেছিলেন। এখন প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে, কবির স্মৃতিবিজড়িত হওয়ার কারণে যদি শাহজাদপুর ও শিলাইদহে বরীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে পারে, তবে দক্ষিণডিহিতে কেন নয়? দক্ষিণডিহির সঙ্গে কবির ঘনিষ্ঠতা কবির স্মৃতিবিজড়িত অন্য স্থানগুলোর থেকে কোনো অংশে কম নয়। দক্ষিণডিহি শুধু কবিপত্নী মৃণালিনী অথবা কবির মাতা সারদাসুন্দরী দেবীর জন্মস্থান নয়, এই শাহজাদপুর অথবা শিলাইদহের মতো দক্ষিণডিহিতে কবির পদধূলিও পড়েছে।

আর কবি জোড়াসাঁকোয় জন্মগ্রহণ করলেও তার পূর্ব পুরুষরা ছিলেন এই অঞ্চলেরই মানুষ। দক্ষিণডিহি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার গেলেই কবির পূর্ব পুরুষের জন্মভিটা দেখতে পাওয়া যাবে খুলনা জেলার রূপসার পিঠাভোগ গ্রামে। খুলনা অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কবির সম্পর্ক শুধু মৃণালিনীকে কেন্দ্র করে নয়, কবির শিকড় এই মাটিতেই প্রোথিত। তাই খুলনার মানুষের সঙ্গে কবির শিকড়ের সম্পর্ক, এমন দাবি তুলে এই অঞ্চলের অবহেলিত-নিপীড়িত-উন্নয়নবঞ্চিত জনগণ খুলনায় তথা দক্ষিণডিহিতে বরীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি উত্থাপন করতেই পারে। আর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মতো জায়গারও অভাব নেই এই অঞ্চলে। দক্ষিণডিহির পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল বিলডাকাতিয়ার অবস্থান। সরকার আন্তরিক হলেই দক্ষিণডিহিকে কেন্দ্র করে খুলনা তথা ফুলতলায় বরীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে পারে।

পরিশেষে, শাহজাদপুর বা শিলাইদহে অথবা পতিসরে যদি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়, তবে সেই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আমাদের আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু বরীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত মৃণালিনীর জন্মভূমি দক্ষিণডিহি ও কবির পূর্ব পুরুষের আদি নিবাস খুলনায় ঐতিহাসিক পিঠাভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে খুলনায়ও রবীন্দ্রনাথের নামে শান্তিনিকেতনের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জোর দাবি উত্থাপন করছি।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 [email protected]

সর্বশেষ খবর