শনিবার, ৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন

সহিংসতা এড়ানোর উদ্যোগ নিন

ছয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এ পর্যন্ত যে তিন ধাপের নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিটিই কলঙ্কিত হয়েছে জালভোট, বুথ দখল এবং হানাহানির কারণে। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জাতীয়ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী দেওয়ায় এ স্থানীয় নির্বাচনেও জাতীয় নির্বাচনের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। দুনিয়ার বহু দেশেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয় ভিত্তিতে প্রার্থী দেওয়া হয়। বাংলাদেশে দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন নতুন হলেও বিশ্ব পরিসরে তা বহুল পরিচিত। আশা করা হয়েছিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়ন স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্র চর্চায় সহায়ক হবে। কিন্তু তিন ধাপের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা এতটাই তিক্ত যে, চতুর্থ ধাপ নিয়ে আশাবাদের সুযোগ সত্যিকার অর্থেই কম। এ পর্যন্ত সম্পন্ন তিন ধাপের নির্বাচনে প্রায় ২০০ ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রার্থীই দিতে পারেনি। যেসব ইউনিয়ন পরিষদে তারা প্রার্থী দিয়েছে তাদের কেউ কেউ নির্বাচনের আগেই ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলে কেটে পড়েছেন। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অনুপস্থিতিতে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই একতরফা নির্বাচন হয়েছে। তারপরও জালভোট, বুথ দখল, হামলা-পাল্টা হামলা আর হতাহতের ঘটনা এ পর্যন্ত সম্পন্ন তিন ধাপের নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিরোধী দল মাঠে না থাকলেও সরকারি দলের প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ের বদলে রক্ত ঝরানোর কসরত করেছেন। সরকারি দলের সুনামকেও কলঙ্কিত করেছে দুর্বিনীতদের কার্যকলাপ। চতুর্থ ধাপের যে নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতে কারা জিতবে কারা হারবে তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাদের শুধু আবেদন থাকবে দোহাই অন্তত রক্তপাত থেকে দূরে থাকুন। নির্বাচনের নামে মায়ের কোল শূন্য হওয়া, স্বামী হারানো, সন্তান হারানোর খেলা কোনোভাবেই কাম্য হওয়া উচিত নয়।  আমরা আশা করব নির্বাচনকালে মোতায়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অন্তত রক্তের হোলি খেলা যাতে কেউ খেলতে না পারে সেটি নিশ্চিত করবেন।

সর্বশেষ খবর