শনিবার, ৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

রপ্তানি আয়ে সাফল্য

বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ২২ শতাংশ। গত দশ মাসে দেশের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ডলার। মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ২ হাজার ২৬৩ কোটি ডলার অর্জিত হয়েছে তৈরি পোশাক থেকে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ। বলা যায়, পোশাকের ওপর ভর করেই গত দশ মাসে রপ্তানি বৃদ্ধি প্রায় সোয়া নয় শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। স্মর্তব্য, চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৫০ কোটি ডলার। দশ মাসে ২৭৬৩.৭২ কোটি ডলার অর্জিত হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আগামী দুই মাসে ৫৮৬.২৮ কোটি টাকা আয় করতে হবে এবং আশা করা হচ্ছে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৯ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি স্বস্তিদায়ক হলেও বাংলাদেশের রপ্তানি এখন পর্যন্ত এক পণ্যনির্ভর। যা যে কোনো দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে রপ্তানিকারকদের মতে, দেশের তৈরি পোশাকের বাজার প্রতিনিয়তই সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে বিশেষ কোনো দেশে রপ্তানি কমলেও তাতে সমস্যা হবে না। চলতি বছর পোশাকের পাশাপাশি টেরিটাওয়েল, প্রকৌশল পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। তবে হতাশার দিক হলো— কৃষিজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, বাইসাইকেল ইত্যাদি পণ্যে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আলোচ্য সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যে ৫৬ কোটি, প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে ৩৬ কোটি, হোম টেক্সটাইলে ৪৮ কোটি, হিমায়িত খাদ্যে ৩৭ কোটি, কৃষিজাত পণ্যে ৩৫ কোটি, বাইসাইকেলে ৬ কোটি, প্লাস্টিক পণ্যে ৫ কোটি ৮৮ লাখ, ওষুধে ৫ কোটি ৪৭ লাখ, টেরিটাওয়েলে ৩ কোটি ৪০ ডলার আয় হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে বৈচিত্র্য আনতে অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে হবে।  কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে যেসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালাতে হবে। বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে কূটনৈতিক মিশনগুলোকে সক্রিয় করে তোলাও জরুরি।

সর্বশেষ খবর