রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আরও এক টার্গেট কিলিং

কাপুরুষদের আইনের আওতায় আনুন

টার্গেট কিলিংয়ে লিপ্ত দেশ ও জাতির শত্রুরা আরও একটি কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পাবনার অনুকূলচন্দ্র সেবাশ্রমের এক বৃদ্ধ সেবায়েতকে শুক্রবার নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারা। সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি কার্যকরের পর থেকে দেশে একের পর এক টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটছে। ৬ জুন একই দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আত্মবিক্রীত ধর্মান্ধ চক্র নিজেদের বেপরোয়া অশুভ তত্পরতার জানান দিয়েছে। ওই দিন রাজধানীর উত্তরায় একজন কর্নেলের মাকে জবাই করে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে। একই দিন নাটোরে একজন বৃদ্ধ খ্রিস্টান দোকানিকে খুন করা হয় নির্মমভাবে। চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে প্রকাশ্যে রাজপথে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে মোটরসাইকেলে আগত ঘাতকরা। জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের বিশেষ ভূমিকার কারণে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর আঘাত হানা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ সন্দেহ সত্যি হলে এটি হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পারিবারিক সদস্যদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলার প্রথম ঘটনা। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বিষিয়ে তোলাও সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অন্যতম টার্গেট বলে মনে করা হয়। নাটোরে একজন খ্রিস্টান দোকানিকে হত্যার তিন দিন পর পাবনায় হিন্দু সেবায়েতের হত্যাকাণ্ড সে অপচেষ্টার অংশ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং শাস্তিবিধানের প্রক্রিয়ার পর হঠাৎ করে জঙ্গি তত্পরতা বৃদ্ধির পেছনে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি বিশেষ দলের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের পিতৃভূমি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার হাত এতে আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা দরকার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাতে চায় সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী অশুভ শক্তি। তাদের ইন্ধনেও জঙ্গিবাদ উত্থানের নাটক অভিনীত হচ্ছে কিনা, সে সংশয়ও প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। যে কারণেই হোক একের পর এক টার্গেট কিলিং জননিরাপত্তার জন্য বিসংবাদ সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার হোতাদের আইনের আওতায় আনা সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর