বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

চালের দামে ঊর্ধ্বগতি

কারসাজির হোতাদের চিহ্নিত করুন

চালের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই। কৃষকরা মাত্র কয়েক দিন আগেও তাদের উত্পাদিত ধান কীভাবে বিক্রি করবেন তা নিয়ে হিমশিম খেয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে অনেক কৃষক ধান বিক্রি করে উত্পাদন খরচও ওঠাতে পারেননি। সে ধান চালকল মালিকদের গুদামে জমা হওয়ার পর তারা হাজির হয়েছেন নতুন চেহারায়। সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হয়েছে চালের দাম। প্রতি কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা দাম বৃদ্ধির পেছনে চালকল মালিকদের মুনাফাখোরি মনোভাব কাজ করছে এমন অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের। বোরো ধান কৃষকদের কাছে যখন ছিল তখন তারা ন্যায্যমূল্য পাওয়ার জন্য হাহাকার করেছেন। সেই ধান চালকল মালিকদের গুদামে যেতে না যেতেই শুরু হয়েছে সাধারণ ভোক্তাদের হাহাকার। দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান অসঙ্গতির জন্য চালকল মালিকদেরই পোয়াবারো। তাদের কাছে কৃষক এবং ভোক্তা দুই পক্ষই জিম্মি হয়ে পড়েছে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে কৃষক ধান উত্পাদন করে তারা প্রতিবছরই উত্পাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার এখন কৃষকদের বদলে চালকল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করায় সেখানেও তারা মুনাফা লোটার সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছে। বলা যায় ধান উত্পাদন করে কৃষকের সমৃদ্ধি নিশ্চিত না হলেও চালকল মালিকদের রমরমা বেড়েই চলেছে। চালকল মালিকরা ব্যবসা করুন তাতে সাধারণ মানুষের কোনো আপত্তি নেই, তারা তা মেনে নিতেও রাজি। কিন্তু কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই তারা যেভাবে সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ মুনাফাখোরি মনোভাব জনমনে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করছে। বাজার মনিটরিংয়ে সরকার কঠোর হলে বিনা কারণে চালের দাম বৃদ্ধির সুযোগ হতো না এমনই মনে করেন বোদ্ধাজনরা। আশা করব চালকল মালিকদের মুনাফাখোরি মনোভাবে লাগাম পরাতে সরকার সক্রিয় হবে। মূল্যবৃদ্ধির কারসাজির হোতারা যাতে অসৎ মনোভাব ত্যাগে বাধ্য হয় তা নিশ্চিত করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর