শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
ইতিহাস

নৃশংসতার দৃষ্টান্ত

মুহম্মদ বিন তুঘলক জীবন্ত অবস্থায় কামপিলার রাজা বাহাউদ্দীনের দেহের চামড়া খুলে নেওয়ার যে, আদেশ দেন তা ইতিহাসের এক নিন্দিত অধ্যায়। এ অমানুষিক শাস্তির কথা ইবনে বতুতার ‘রেহলা’ ও ইসামীর ‘ফুতুহ-উস-সালাতীনে’ পাওয়া যায়। এরপর মুলতানের শাসনকর্তা বাহরাম কিশুলু খান বিদ্রোহী হয়ে উঠেন। সুলতান এক বিরাট সৈন্যবাহিনী নিয়ে মুলতানের দিকে অগ্রসর হন এবং বিদ্রোহী রাজাকে পরাস্ত ও হত্যা করেন।

এ সময়েই ট্রান্স-অক্সিয়ানার চাগতাই রাজা তারমাসিরিন ভারতে আসেন। খোরাসানের রাজা আমীর ছোবানের হাতে পরাজিত হয়ে তারমাসিরিন খোরাসানের বিরুদ্ধে এক যুদ্ধ অভিযানের জন্য মুহম্মদ বিন তুঘলকের সমর্থন ও সাহায্য কামনা করেন। সুলতান আন্তরিকতার সঙ্গে তাকে গ্রহণ করলেন। ড. আগা মাহদী হুসাইনের মতে, তার ভারত অভিযানের বর্ণনা এবং মোঙ্গলদের কাছে সুলতানের আত্মসর্পণের কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

মুহম্মদ বিন তুঘলক সমসাময়িককালের একজন অসামান্য পুরুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন বিজ্ঞ, সাহসী ও উদ্যমী। সিংহাসনে আরোহণের সামান্য পরেই তিনি কতকগুলো পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সাহসিকতার সঙ্গে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে ১৩৩৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন দুর্ভাগ্যবশত তার কোনোটাই সাফল্যমণ্ডিত হয়নি। এ ব্যর্থতার পরিণতি হিসেবে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও গোলযোগের মোকাবিলা করতে হয়েছিল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর