শিরোনাম
শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

সৌদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের ঘনিষ্ঠতা বাড়াবে

সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকসহ সব ধরনের কর্মী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। সাত বছর আগে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে নারী গৃহকর্মীদের জন্য সৌদি শ্রম বাজার উন্মোচন হয় আংশিকভাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের পর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে আবার সব ধরনের কর্মী নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। আশা করা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানির বিশাল বাজার উন্মুক্ত হবে। বর্তমানে সে দেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ১৩ লাখ। এর মধ্যে ৬০ হাজার নারী শ্রমিকও রয়েছে। ২০০৮ সালের আগে গড়ে প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি সৌদি আরবে নিয়োগ পেত। আশা করা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি উঠিয়ে নেওয়ায় সে সুদিন আবার ফিরে আসবে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক, নির্মাণকর্মী, চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক, কৃষকসহ সব ধরনের কর্মীর সৌদি আরবে কাজ পাওয়ার পথ সুগম হবে। তবে তেলের দামে ধস নামা এবং নানা অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুফল কতটা পাওয়া যাবে তা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে। সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি বন্ধের পেছনে রিক্রুটিং এজেন্টদের অসততা, প্রবাসী কর্মীদের একাংশের শৃঙ্খলা ৎঙ্গের অভিযোগ অংশত দায়ী। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর অসৎ রিক্রুট এজেন্টদের অপতত্পরতা যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। জনশক্তি পাঠানো আবার শুরু হলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সরকারের মনিটরিং জোরদারের উদ্যোগ নিতে হবে। অদক্ষ শ্রমিকের বদলে দক্ষ শ্রমিক ও উচ্চ পেশার লোকদের যাতে বেশি সংখ্যায় প্রেরণ করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ এবং প্রস্তুতি থাকা দরকার। রেমিট্যান্স আয় বংলাদেশের অর্থনীতির জিয়নকাঠি। এ জিয়নকাঠিকে সজীব রাখতে আরও বেশি পরিচর্যার বিষয়টি প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমরা আশা করব, কর্মী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার মুসলিম উম্মাহর দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করতেও সহায়তা করবে।

সর্বশেষ খবর