শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

জননিরাপত্তার জন্য হুমকি

অবৈধ অস্ত্রধারীদের সামাল দিন

অবৈধ অস্ত্র জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসী বা জঙ্গিরা অনায়াসে সংগ্রহ করতে পারছে আগ্নেয়াস্ত্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর চোখ এড়িয়ে তা দেশে প্রবেশ করছে সীমান্ত ডিঙিয়ে। তারপর চলে যাচ্ছে সন্ত্রাসীদের কাছে। প্রতিনিয়ত এসব অস্ত্রের হাতবদল হচ্ছে। ভাড়ায় খাটছে অনেক অবৈধ অস্ত্র। এমনকি বৈধ অস্ত্রধারীরাও তাদের অস্ত্র ভাড়া দিচ্ছেন সন্ত্রাসীদের কাছে। অনেক সময় ভুয়া লাইসেন্স দেখিয়েও অস্ত্র কিনছে সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরা। জঙ্গি থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব সন্ত্রাসীর হাতে এখন অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র শোভা পাচ্ছে। পাড়া-মহল্লার উঠতি মস্তানরাই শুধু নয়, ছিঁচকে ছিনতাইকারীরাও ব্যবহার করছে আগ্নেয়াস্ত্র। ৩০ হাজার থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় পাওয়া যায় অবৈধ অস্ত্র। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কেনা ক্ষুদ্রাস্ত্র রাজধানীতে এনে তা বিক্রি করে সুসংবদ্ধ অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা। ৎয়ঙ্কর এ কে সিরিজের অস্ত্র আসছে সমুদ্রপথে। ভারত, মিয়ানমার হয়ে দেশে আসা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীসহ সারা দেশে। রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে গোলাগুলির ঘটনা। সম্প্রতি পৃথক কয়েকটি অভিযানে ডিবি ও থানা পুলিশ যেসব অস্ত্র উদ্ধার করেছে তা বিক্রির উদ্দেশ্যে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা ঢাকায় এনেছিল বলে অপরাধীরা স্বীকার করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সারা দেশে দুই শতাধিক অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায়ী রয়েছেন। সীমান্তপথে ভারত ও মিয়ানমার থেকে সহজেই বাংলাদেশে আসছে অস্ত্রের চালান। জননিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা এসব অবৈধ চালান বন্ধে নিরন্তর চেষ্টা চালালেও অনেক ক্ষেত্রেই তারা তাদের অপকৌশলের সঙ্গে পেরে উঠছে না। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অসৎ রাজনীতিকদের কারও কারও সম্পর্ক থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা অনেক সময় অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। রাজধানীতে জঙ্গি হামলার পর অবৈধ অস্ত্রের চালান বন্ধ সরকার তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করতে হবে। অস্ত্র চোরাচালান শূন্যের পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সীমান্ত অঞ্চলে গোয়েন্দা তত্পরতা বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতে নিতে হবে উদ্যোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর