রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

জঙ্গি দৈত্যকে থামাতে হবে

অর্থায়ন বন্ধে চাই নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা

জঙ্গিবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই অশুভ চক্রের অর্থায়ন বন্ধের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ববহ। আশার কথা এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি। দেশের এনজিওগুলোর দিকেও রাখা হচ্ছে তীক্ষ নজর। জঙ্গি অর্থায়নে কোনো এনজিও জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জঙ্গি অর্থায়নে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা যে কোনো স্তরের রাজনৈতিক ব্যক্তি বা সংস্থার ন্যূনতম সহযোগিতার তথ্য পেলে সরাসরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধে অর্থ জোগানদাতাদের চিহ্নিত এবং ব্যাংকে লেনদেন কঠোরভাবে মনিটর করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তত্পরতায় পৃষ্ঠপোষকরা দেশে ও দেশের বাইরে অর্থ স্থানান্তরে এখনো ব্যাংকগুলোকে ব্যবহার করছে। এ জন্য ব্যাংকের লেনদেন নিবিড়ভাবে মনিটর করা এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নকারীদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আটটি ব্যাংকের ৩৫টি অ্যাকাউন্টে ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে জঙ্গিদের কাছে বড় অঙ্কের টাকা এসেছে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও মেইনটেন্যান্স চার্জের নামে এসব টাকা লেনদেন করা হয়েছে। এ অর্থায়নের পেছনে রয়েছেন প্রবাসী অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী। পাশাপাশি দেশীয় বেশ কিছু এনজিও বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ নিয়ে এসে জঙ্গিদের অর্থায়ন করছে। জঙ্গি অর্থায়নের নামে এ দেশ থেকে অর্থ বিদেশেও পাচার করা হয়েছে। সৌদি আরব, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ব্যবসায়ীরাও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করছেন। জঙ্গিবাদের থাবা ভেঙে দিতে হলে এর অর্থায়ন বন্ধে নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।  ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারাই এই বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নই শুধু নয়, ইসলামী উম্মাহর অস্তিত্বের স্বার্থেই জঙ্গি নামের নোংরা দৈত্যকে থামাতেই হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর