রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

পায়রা বন্দরের শুভ যাত্রা

দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে গতি সৃষ্টি হবে

পায়রা সামুদ্রিক বন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে গতকাল— পদ্মা সেতুর জন্য চীন থেকে আমদানি করা পাথর খালাসের মাধ্যমে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের এই তৃতীয় সামুদ্রিক বন্দরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাবনাবাদ চ্যানেলে ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা সামুদ্রিক বন্দর তৈরি হচ্ছে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি এই তিন পর্যায়ে। স্বল্পমেয়াদের শেষ পর্যায়ের কার্যক্রম এখন দ্রুতগতিতে চলছে। একই সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম। দেশের নির্মীয়মাণ তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পুরোপুরিভাবে চালু হবে ২০১৮ সালে। পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য মোট ৬ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বন্দরে জাহাজ নোঙর করতে মোট ১৬টি জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বড় বড় জাহাজ পায়রা বন্দরে প্রবেশ করার জন্য ড্রেজিংয়ের কার্যক্রম আগামী বছর শুরু করা হবে। বন্দরে ভারী যন্ত্রপাতি পরিচালনার জন্য কেনা হয়েছে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর। বন্দরের সুবিধার্থে কলাপাড়ার ধানখালীতে নির্মাণ করা হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র। নিরাপদে জাহাজ চলাচলের জন্য বঙ্গোপসাগর থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত প্রায় ২৫ মাইল নৌপথে একটি ফেয়ারওয়ে বয়ার নির্মাণকাজ শুরু হবে। এ ছাড়া কালীগঞ্জ থেকে বন্দর পর্যন্ত অ্যাপ্রোচ চ্যানেলে বয়া নির্মাণসহ মধ্য সাগরে জাহাজ নোঙরের জন্য মুরিং বয়া নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জোয়ারের সময় ১৪ মিটার গভীরতা ও ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ পায়রা বন্দরে ভিড়তে পারবে। মাদার ভ্যাসেলকে বহির্নোঙরে রেখে লাইটার জাহাজে এ বন্দর দিয়ে পণ্য উঠানো-নামানো সম্ভব হবে। পুরো বন্দর এলাকা গড়ে তোলা হবে এক্সক্লুসিভ জোন হিসেবে। দেশের নৌবাহিনীকে আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে শিগগিরই সাবমেরিন যুক্ত করা হবে। দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দরের পাশে স্থাপিত স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিক নৌঘাঁটিতে নৌ-কমান্ডো, এভিয়েশন, জাহাজ ও সাবমেরিন বার্থিং সুবিধা থাকবে।  পায়রা সামুদ্রিক বন্দর নির্মিত হলে উন্নয়ন ক্ষেত্রে উপেক্ষিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে গতি আসবে। দেশের ওই অঞ্চলের মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে। ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি যার গুরুত্ব অনেক বেশি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর