সিঙ্গপুরের জাতীয় সংগীত হলো মালয় ভাষায়, ‘মাজুলা সিঙ্গাপুর’ বা সিঙ্গাপুর এগিয়ে চলো।  সিঙ্গাপুরে চারটি সরকারি ভাষা রয়েছে। ইংরেজি, মান্দারিন, মালয়ের সঙ্গে রয়েছে তামিল ভাষাও। সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা বেশির ভাগ কথার শেষে ‘লা’ শব্দটি ব্যবহার করেন। এই যেমন ‘ওকে’কে বলেন ‘ওকে’লা’। পাঁচ বা তার বেশি লোকজনের ক্ষেত্রে কোথাও জড়ো হতে গেলে পুলিশের নানা কড়া নিয়ম মানতে হয়। সিঙ্গাপুরকে বলা হয় সিংহের শহর বা ‘লায়ন সিটি’। অথচ বাস্তবে গোটা সিঙ্গাপুরে একটাও সিংহ নেই। রাত ১০টার পর দুজনের বেশি লোক জমায়েত হওয়া অবৈধ। সিঙ্গাপুরে মাত্র একটাই দল রয়েছে। দলটির নাম ‘পিপলস অ্যাকশন পার্টি’। ১৯৫৯ সাল থেকে ‘পিপলস অ্যাকশন পার্টি’ দেশের ক্ষমতায় রয়েছে। ভোট পরিচালনা করে এই দলই। ১৯০৫ সাল থেকে মোট ৬ বার টাইম জোন পরিবর্তন করে সিঙ্গাপুর। ১৯৮২ সালে সিঙ্গাপুর শেষবার তাদের টাইম জোন পরিবর্তন করে। এখন সিঙ্গাপুরের টাইম জিএমটির থেকে আট ঘণ্টা এগিয়ে। সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম হাঁটা মানুষ ১০.৫৫ সেকেন্ড সিঙ্গাপুরিয়ানরা হাঁটে ১৮ মিটার, মানে ঘণ্টায় ৬.১৫ কিলোমিটার। সেখানে বাংলাদেশের হাঁটার গতি ঘণ্টায় গড়ে ৫ কিলোমিটার। ২০০৫ সালে জুয়াকে আইনসিদ্ধ করে সিঙ্গাপুর। নিজের ঘরের মধ্যে নগ্ন থাকলেও আইনগত শাস্তি হতে পারে সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের। কারণ আইন অনুযায়ী নগ্ন অবস্থায় কেউ দেখে ফেললেই যিনি নগ্ন ছিলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যাবে। আত্মহত্যার চেষ্টা করা সিঙ্গাপুরে আইনবিরুদ্ধ কাজ। পেনাল কোডের ৩০৯ ধারায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে মানুষের জেল হয় সিঙ্গাপুরে। ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইন্টারনেটে গান বা সিনেমা ডাউনলোড করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি না নিয়ে কাউকে জড়িয়ে ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হওয়া জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সিঙ্গাপুর।  ১৯৯২ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে চুইংগাম নিষিদ্ধ। কারণ চুইংগামে পথচারীদের অসুবিধা হয়। সিঙ্গাপুরিয়ানরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলে।