খায়রুদ্দীন বারবারোসা ব্যতীত অপর যে কয়েকজন জলদস্যু সোলায়মান নৌবাহিনীতে যোগদান করে অসামান্য কৃতিত্ব অর্জন করেন তাদের মধ্যে দ্রাগুত পাশা অন্যতম। তিনি খ্রিস্টান ছিলেন এবং ইতালি ও স্পেন উপকূলে লুণ্ঠনবৃত্তি দ্বারা সন্ত্রাসের সৃষ্টি করেন। দ্রাগুত পাশার বীরত্ব, দুঃসাহসিকতা ও রণনৈপুণ্যের কথা জানতে পারে সোলায়মান তাকে নৌবাহিনীতে দায়িত্বপূর্ণ পদে বহাল করেন। তিনি সুলতানের নির্দেশে ত্রিপলি আক্রমণ এবং মাল্টার সেন্ট নাইটদের অধিকৃত শহরটি দখল করেন। তুফর্ক সাম্রাজ্যভুক্ত হলে দ্রাগুত পাশাকে ত্রিপলির শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হয়। তিনি ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে মাল্টায় নৌ-অভিযান করেন কিন্তু সফলকাম হননি। এ শহর অবরোধকালে তিনি নিহত হন। অপর এক জলদস্যু নৌ-অধ্যক্ষ ছিলেন, নাম পিয়ালী পাশা। তিনি বহুদিন লুটতরাজে নিয়োজিত থাকেন এবং পরে সোলায়মানের অধীনে নৌ-অধ্যক্ষের পদ লাভ করেন। তিনি বারবারোসার নেতৃত্বে পরিচালিত খ্রিস্টান, স্পেন, পোপ ও ভেনিসের সম্মিলিত বাহিনীকে পরাস্ত করেন। তার অসীম বীরত্ব সর্বজনবিদিত ছিল। তিনি উত্তর আফ্রিকার উপকূলে ওরান এবং তিউনিসিয়ার সংলগ্ন জেরবা দ্বীপ দখল করে তুরস্ক সাম্রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধি করেন। তিনি ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে মাল্টার বিরুদ্ধে প্রেরিত নৌ-অভিযানেও অংশগ্রহণ করেন।