কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে এক মতবিনিময় সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, ঢাকার কূটনৈতিক এলাকা এখন শতভাগ নিরাপদ। সরকারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়টিও তিনি বিদেশি কূটনীতিক ও ব্যবসা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন। কূটনৈতিক এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সার্কুলার বাস ও রিকশা সার্ভিস চালু করা এবং নগর অ্যাপ সম্পর্কে তিনি উপস্থিত রাষ্ট্রদূত ও বিদেশি ক্রেতাদের অভিহিত করেন। বিদেশি কূটনীতিক এবং ব্যবসা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মোকাবিলা ও বিদেশিদের নিরাপত্তা দানের ক্ষেত্রে সরকারের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। সিটি করপোরেশনের নানা উদ্যোগকেও তারা ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেন। বিদেশি কূটনীতিকদের মতে, সরকার ও সিটি করপোরেশনের গৃহীত পদক্ষেপে আস্থার পরিবেশ ফিরে আসছে। পুরোপুরি আস্থা সৃষ্টিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বিদেশি ক্রেতারা যেসব এলাকায় তাদের প্রায়শই যেতে হয় সেসব এলাকার নিরাপত্তা বিধানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত যে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল সরকার ও সিটি করপোরেশনের নানামুখী উদ্যোগে তার অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মতবিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে এ ক্ষেত্রে আরও কী কী করণীয় সে সম্পর্কেও সরকার ও সিটি করপোরেশনের জানার সুযোগ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এর ফলে কূটনীতিক ও বিদেশিদের আস্থা অর্জনের পরিপূরক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকার ও সিটি করপোরেশনের পক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। বাঙালিরা ঐতিহ্যগতভাবে অতিথিপরায়ণ জাতি হিসেবে পরিচিত। সে পরিচিতি অক্ষুণ্ন রাখতেই কূটনীতিকসহ বিদেশিদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জাতীয় কর্তব্য হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত।