ফিরোজ শাহ ছিলেন ন্যায়পরায়ণ, দয়ালু, শান্তিপ্রিয় ও স্নেহপ্রবণ। ইসলামের প্রতি ভক্তি-বিশ্বাস ছিল প্রগাঢ়। জিয়াউদ্দিন বারানি ও শামস-ই-সিরাজ আফিফ তার চরিত্রের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেছেন, নাসিরউদ্দিন মাহমুদের পর ফিরোজের মতো ন্যায়পরায়ণ, দয়ার্দ্র হৃদয় ও প্রজাকল্যাণকামী সুলতান দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেননি। ড. আগা মাহদি হুসাইনও সুলতানের দয়াপ্রবণতা, ধর্মপরায়ণতা, বাৎসল্য, উদারতা ও কল্যাণকর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। ঐতিহাসিক এলফিনস্টোন তাকে সুলতানি যুগের আকবর বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু ইতিহাসবিদ স্মিথ বলেন, আকবরের সঙ্গে ফিরোজ তুঘলকের তুলনা হতে পারে না। তবে স্যার ডব্লিউ হেগ বলেছেন, ফিরোজ শাহের রাজত্ব আকবরের রাজত্বের পূর্ববর্তী গৌরবময় মুসলিম শাসনের পরিসমাপ্তি সূচনা করে।
সুলতান ফিরোজ ছিলেন সরল ও অনাড়ম্বর। খাদ্য ও পোশাক-পরিচ্ছদে অহেতুক ব্যয় পছন্দ করতেন না। কোরআনের নির্দেশকে তিনি শাসননীতির বৈশিষ্ট্য হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। জাফর খান