সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

কুয়াশার কশাঘাত

যানবাহন চলাচলে সতর্ক থাকতে হবে

সারা দেশে দেরিতে হলেও শীত যেমন জেঁকে বসেছে তেমন থাবা বিস্তার করছে কুয়াশার চাদর। ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশ যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। কুয়াশার কারণে গত শনিবার আন্তর্জাতিক রুটের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামতে পারেনি। দুটি ফ্লাইট নির্দিষ্ট সময়ের দুই ঘণ্টা পর বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান আফ্রিকা যাওয়ার পথে রাতে জ্বালানি নিতে দেড় ঘণ্টার জন্য শাহজালালে অবতরণ করে। কিন্তু ঘন কুয়াশায় ৭ ঘণ্টা আটকে থাকার পর সেটি পুনরায় যাত্রার সুযোগ পায়। ঘন কুয়াশা নৌ চলাচলেও বিঘ্ন সৃষ্টি করছে দেশজুড়ে। কুয়াশার ফাঁদে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শনিবার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় নৈশকোচ, বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মালামালবাহী ট্রাক মিলে প্রায় ৪০০ যানবাহন আটকে ছিল। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। নৌদুর্ঘটনা এড়াতে রাত পৌনে ১টায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সকাল পৌনে ৯টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা কমে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এ সময় শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীরা। শুক্রবার সকালে ঘন কুয়াশায় শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট কাওড়াকান্দি ঘাটের কাছাকাছি এলে কাওড়াকান্দি থেকে ছেড়ে যাওয়া অপর একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোটের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পানিতে ডুবে যায়। যাত্রীদের তিনজন বাদে অন্যদের আরেকটি নৌযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়। শনিবার নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার করতে সমর্থ হয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির দল। একদিকে প্রচণ্ড শীত ও অন্যদিকে কুয়াশা জনজীবনে দুর্ভোগ বয়ে এনেছে। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, চলতি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি অথবা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং অন্যত্র মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শীত ও কুয়াশার তীব্রতায় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ঘন কুয়াশার মধ্যে যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন অপরিহার্য হয়ে ওঠেছে। এ ব্যাপারে সড়ক যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো সতর্কভাবে দৃষ্টি রাখবে এমনটিও কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর