মাহমুদ তুঘলকের মৃত্যুর পর আমির-ওমরাহগণ অমাত্য দৌলত খান লোদিকে সিংহাসনে বসান। তিনি দিল্লির সিংহাসন অধিকার করে প্রায় দুই বছরকাল রাজত্ব করেন। ১৪১৪ খ্রিস্টাব্দে তৈমুরের প্রতিনিধি ও মুলতানের শাসনকর্তা খিজির খানের কাছে তিনি পরাজিত হন। দৌলত খানের পরাজয়ের পর খিজির খান দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। সিংহাসনে আরোহণের পর তিনি দিল্লি সাম্রাজ্যের পূর্ব ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য মনোনিবেশ করেন। খিজির খান ছিলেন আরব গোষ্ঠীর সন্তান। তিনি নিজেকে পয়গম্বরের বংশধর বলে দাবি করতেন। তাই তার প্রতিষ্ঠিত বংশ ইতিহাসে ‘সৈয়দ বংশ’ নামে পরিচিত।
খিজির খানের সৈয়দ হওয়া সম্বন্ধে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এটি কোনো বংশীয় দাবির ওপর নির্ভর করে না, বরং একজন ধার্মিক লোকের অনুমানের ওপর নির্ভরশীল। দ্বিতীয়ত, খিজির খান উদার, ধার্মিক, দয়াশীল এবং সত্যবাদী ছিলেন।