সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র

দেশ ও জাতিকে রুখে দাঁড়াতে হবে

সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলার সময় বোমা হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের প্রাণহানি ঘৃণিত গণদুশমনদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত লড়াইয়ের তাগিদ সৃষ্টি করেছে। জঙ্গিরা যে কতটা বেপরোয়া তা সিলেট কাণ্ডে আবারও প্রমাণিত হয়েছে। জঙ্গি দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্যকে ম্লান করতেই মানবতার শত্রুরা যে উঠে পড়ে লেগেছে তা তাদের অপতৎপরতায় অনেকখানিই স্পষ্ট। স্বাধীনতার মাসে র‌্যাবের দুটি স্থাপনায় ও শাহজালাল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের পরপরই সিলেটে জঙ্গি স্থাপনায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় বোমা হামলায় ছয়জনের প্রাণহানিকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। অঘটনের জন্য স্বাধীনতার মাসকে বেছে নেওয়ার বিষয়কেও উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করা যেতে পারে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতেই বিবেক বিকিয়ে দেওয়া জঙ্গিবাদীরা একের পর এক আঘাত হানার চেষ্টা চালাচ্ছে। স্বভাবতই তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাও সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, জঙ্গি নামের গণদুশমনদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বদলে রাজনৈতিক অঙ্গনের কেউ কেউ নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জঙ্গিবাদীদের সহযোগীরা সামাজিক প্রচার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনোবল নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমনে এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধেও উদ্যোগ নিতে হবে। ইসলামের নাম অপব্যবহর করে মানবতা ও শান্তির ধর্মকে যারা কলঙ্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সে গণদুশমনদের বিরুদ্ধে দেশের আলেম সমাজ বিশেষত মসজিদের ইমাম ও খতিবদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের তাগিদ সৃষ্টি করেছে। জঙ্গি নামধারী জাহান্নামের কীটরা শুধু দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের শত্রুই নয়, ইসলামের গায়ে কলঙ্ক লেপনের যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা প্রতিরোধে মসজিদ-মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। জঙ্গিবাদ সৃষ্টির জন্য দায়ী যে অপসংস্কৃতি তা রোধে দেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার মাসে দেশ থেকে জঙ্গিবাদের চিহ্ন উৎপাটনে তারা দেশবাসীর সঙ্গে ঐক্যতান তুলে শপথ নেবেন, গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবেন এটি সময়েরই দাবি।

সর্বশেষ খবর