রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

শাহজালালের অব্যবস্থা

সুনামহানির হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থেকে কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছে না। দুনিয়ার আর কোনো ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইঁদুর-বিড়াল দাপিয়ে বেড়ানোর ঘটনা বিরল হলেও শাহজালালে তা অহরহ ঘটছে। মশা-মাছির উৎপাতও এ বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শীর্ষ প্রতিবেদনে এ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অব্যবস্থার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা দেশের সুনামের জন্যও যে বিড়ম্বনার সন্দেহ নেই। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিটের মধ্যে লাগেজ পাওয়া যায়, সেখানে শাহজালালে মিনিট পেরিয়ে চলে যায় ঘণ্টা। লাগেজ খোয়া যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া বিমানে ওঠার আগে দেহ তল্লাশির নামে চলে যাত্রী হয়রানি। সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় যাদের রেমিট্যান্সে বাংলাদেশ চলে সেই শ্রমজীবীদের। বিমানের ইমিগ্রেশনের ভিতরও মানি এক্সচেঞ্জের নামে চলে আরেক বিড়ম্বনা। এ ব্যাপারে সিভিল অ্যাভিয়েশন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দরটি। যাত্রীদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় স্ক্যানিং মেশিন, ট্রলি খুঁজে পেতেও হয়রান হতে হয়। চারদিকে হতশ্রী অবস্থা বিরাজ করলেও বকশিশ আদায়ের ক্ষেত্রে এ বিমানবন্দরের কেউ যেন পিছিয়ে থাকতে চান না। বিমানবন্দরে যাত্রী পরিবহনে যেসব ট্যাক্সি থাকে তারা আদায় করে কয়েকগুণ ভাড়া। প্রতারকের ভিড়ও লেগে আছে বিমানবন্দরজুড়ে। কার্গো ব্রিজে অব্যবস্থাপনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, উত্তর পাশে বোর্ডিং ব্রিজ পর্যন্ত মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেখানে সেখানে পড়ে থাকে। এতে বিমানে ওঠানামায় যাত্রীদেরও নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের পরিচিতির অন্যতম অনুষঙ্গ। এ বিমানবন্দরের অব্যবস্থা বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার জন্যও সৃষ্টি করছে হুমকি।  যা কাটিয়ে উঠতে অব্যবস্থাপনার গণ্ডি থেকে শাহজালালকে বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে।  যাদের কারণে দেশের এ বিমানবন্দর সুনাম হারাচ্ছে তাদের কঠোরভাবে দমনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর