শিরোনাম
সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিএনপি কি সত্য বলতে পারবে?

তুষার কণা খোন্দকার

বিএনপি কি সত্য বলতে পারবে?

আফ্রিকার গোত্রগুলো তাদের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক অভিজ্ঞতাকে যুগের পর যুগ যত্ন করে বাঁচিয়ে রাখে। গোত্রগুলোতে মুরব্বিদের অভিজ্ঞতা মানুষ মন দিয়ে শোনে এবং তাদের ব্যক্তি ও সামষ্টিক জীবনে মুরব্বিদের উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করে। গোত্রের প্রবীণ মানুষগুলো তাদের জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা পুরুষানুক্রমে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিয়ে যায়।  আফ্রিকার মানুষের অভিজ্ঞতার নির্যাস শুনলে মনে হয় জ্ঞানের লিখিত রূপ হয়তো সত্যি অপ্রয়োজনীয়। অভিজ্ঞতার মৌখিক বর্ণনা যদি এত সমৃদ্ধ এবং তাত্পর্যময় হতে পারে তাহলে জ্ঞানকে অক্ষর দিয়ে বেঁধে লাভ কী? গোত্রপতিদের বয়ান করা গভীর জ্ঞান এবং উপদেশ পড়ে দেখার সুযোগ হলে সেগুলো আমার মন এবং মগজকে নাড়া দিয়ে যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশের রাজনীতির বর্তমান বাস্তবতায় আফ্রিকান এক গোত্রপতির উপদেশের কথা মনে পড়ে। বয়োবৃদ্ধ গোত্রপতি তার গোত্রের নতুন প্রজন্মকে সম্বোধন করে বলছেন, ‘তোমরা যখন যুদ্ধ করবে তখন যুদ্ধের ময়দানের চারপাশ আষ্টেপৃষ্ঠে বেড় দিয়ে যুদ্ধ করবে না। যুদ্ধের ময়দানের একপাশ খোলা রাখবে যাতে পরাজিত শত্রু ময়দানের খোলা পাশ দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। চারদিক বন্ধ করে যুদ্ধ করলে দুর্বল শত্রু বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। যুদ্ধের ময়দানে শত্রু যদি জান বাজি রেখে লড়ে তাহলে যুদ্ধের পরিণাম অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। চারদিকে অবরুদ্ধ শত্রু যুদ্ধজয়ের জন্য লড়াই করে না, ওরা লড়াই করে বাঁচার জন্য। বাঁচার জন্য যে লড়াই করে তাকে হারানো কঠিন।’

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুদ্ধংদেহী আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এ দুটি দলের রাজনৈতিক অবস্থান বিচার করে আমার মনে হয়, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা যুদ্ধক্ষেত্রের চারদিক বন্ধ করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে বড় মাত্রায় ভুল করে ফেলেছে। তারই পরিণাম হিসেবে জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা থাকার পরেও বর্তমান সময়ে বিএনপি মরণ দশায় হাবুডুবু খাচ্ছে। বর্তমান সময়ে মরণ দশায় ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে অনেকে হরেক কায়দায় বাঁচার পথ দেখাচ্ছেন। তারা বলছেন ক্ষমতা হারানোর পরে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি এমন না হয়ে তেমন হলে এত দিনে আওয়ামী লীগের গদি উল্টে যেত। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট কাটানোর জন্য তারা প্রতিনিয়ত হরেকরকম উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। ইতিহাসের পাতা থেকে বিএনপির অনুকূলে কত পদের ভালো ভালো উদাহরণ তুলে ধরে বিএনপিকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপির শুভানুধ্যায়ী আলোচক-সমালোচকদের কেউ নিকট অতীত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তারিখে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার কথা ভুলেও উচ্চারণ করছেন না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় যখন ভয়ঙ্কর বোমা হামলা হয়েছিল তখন বিএনপি গদিনসীন। গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার জন্য জনগণ তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপিকে দায়ী করেছিল। বিএনপি সক্রিয়ভাবে সে দায় কখনো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেনি বরং গ্রেনেড হামলা তদন্তের নামে জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে লেজে লাগা লজ্জার গোবর সারা গায়ে মেখে নিয়েছে। আমার মনে হয়, ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড মেরে, গুলি চালিয়ে শেখ হাসিনাকে মারতে চেয়ে বিএনপি নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়ে দিয়েছে। দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ন্যূনতম আস্থার সম্পর্ক সেই দিন একেবারে নিঃশ্বেষ হয়ে গেছে। দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে চরম অনাস্থা স্থায়ীভাবে বাসা বাঁধলে গণতন্ত্রের মরণ ঘণ্টা বাজতে সময় লাগে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যে অনিশ্চিত অবস্থায় চলে গেছে যা থেকে উত্তরণের সহজ কোনো পথ আমার চোখে পড়ছে না।

ভোটে জেতার পরে বিএনপির নির্বাচিত মেয়ররা যেভাবে জেলের ঘানি টানছেন অথবা পালিয়ে ফিরছেন তাতে মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য ভোটে জেতা মানেই ক্ষমতায় যাওয়া নয়। নির্বাচিত মেয়রদের পরিণাম দেখে আমরা ধরে নিচ্ছি ভোটে জিতে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে সেই গ্যারান্টি জনগণ দিতে পারবে না। নির্বাচনে জিতলে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে কিনা এ প্রশ্নের জবাব খোঁজার জন্য আমি আপনাদের আফ্রিকান গোত্রপতির উপদেশ স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল সে সময় তারা চারদিক বন্ধ করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তারা ধরে নিয়েছিল, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশের মসনদ বিএনপির জন্য চিরস্থায়ী হয়ে যাবে। বিএনপির এমন অতি উচ্চাভিলাষ এদেশে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে থমকে দিয়েছে। ২১ আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনার পরে শেখ হাসিনা এখন রাজনীতিতে জয়ী হওয়ার জন্য লড়াই করেন না। তিনি লড়াই করছেন বেঁচে থাকার জন্য। বেঁচে থাকার জন্য যিনি লড়াই করেন তাকে হারানো সহজ নয়। গত এক যুগে বাংলাদেশের রাজনীতির গতি প্রবাহ যেদিকে মোড় নিয়েছে সেটি আর যাই হোক অবাধ এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চার অনুকূল হতে পারে না। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলা হওয়ার আগে শেখ হাসিনাকে হত্যার আরও অনেকগুলো চেষ্টা হয়েছে। গোপালগঞ্জে তার সভাস্থলে বোমা পুঁতে রেখে তাকে মারার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেসব হত্যা উদ্যোগের জন্য হরকাতুল জিহাদ এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়ে থাকে। সেসব হামলায় শেখ হাসিনা দৈবক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছেন এটা ঠিক তবে প্রতিবার জানে বেঁচে গিয়ে তিনি বুঝেছেন রাজনীতির আঙ্গিনায় কোনো একটি পক্ষ তাকে জানে মারার জন্য মরিয়া। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পেছনে কার হাত ছিল সেটি তৎকালীন গদিনসীন বিএনপি সরকার বুঝতে না পারলেও দেশের মানুষ পুরোটাই বুঝতে পেরেছিল। সে কারণে গ্রেনেড হামলা পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি সরকারের ভরাডুবি হয়েছিল। দেশের মানুষ বিএনপির নরহত্যার রাজনীতিকে গ্রহণ করেনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ছিল বিএনপির জন্য চরম নির্বুদ্ধিতা এবং চরম হঠকারী একটি আচরণ। শেখ হাসিনা কানের পাশ দিয়ে বেঁচে গেছেন। কিন্তু সেদিনের গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন মানুষ ঘটনাস্থলে মারা গিয়েছিলেন। ২১ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত এবং বিচারের ব্যাপারে তৎকালীন বিএনপি সরকার ছলচাতুরী করে ভেবেছিল জনগণের চোখে ধুলা দেওয়া গেছে। জজ মিয়া বলে একটা লোক শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুড়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল এ গল্প দেশবাসীকে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা ছিল বিএনপির চরম আহাম্মকি। তারা দেশের মানুষকে নির্বোধ ভেবে যে ভুল করেছিল তার মাশুল তারা এখনো গুনে যাচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ এমনকি বিএনপির সৎ মানুষগুলো জানত হাওয়া ভবনের একচ্ছত্র আধিপত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলাদেশের কোনো এজেন্সি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারবে না। আমার মনে হয়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত অসমাপ্ত রয়ে গেলে বিএনপির যত ক্ষতি হতো তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে জজ মিয়াকে নিয়ে নাটক পয়দা করে। জজ মিয়া নামের অজ্ঞাত অখ্যাত একজন মানুষ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জন মানুষকে খুন করেছে এ কথা আমাদের বিশ্বাস করতে বলা হয়েছিল। একজন জজ মিয়া যে শেখ হাসিনাকে কোনোদিন সামনাসামনি চোখে দেখেনি সে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে এ গল্প জনগণকে বিশ্বাস করতে বলা বিএনপির উচিত হয়নি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে কারাবন্দী বাবর যখনই জনগণকে এ গল্প শোনাতে চেয়েছে তখনই জনগণ বাবরের ঔদ্ধত্যের বহর দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছে। ফলে জজ মিয়া গল্প জনগণ খায়নি, তবে জজ মিয়া গল্প বিএনপিকে খেয়ে ফেলেছে।

২০০১ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নির্বাচনের শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তবে শান্তিপূর্ণ পথে বিএনপির ক্ষমতা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেনি। গণতন্ত্র চর্চার সে ধারা অব্যাহত থাকলে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দল ঘুরেফিরে নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করতে পারত আবার হেরে গিয়ে পরাজয় মেনে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে পারত। কিন্তু ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার সুযোগকে কফিনে শুইয়ে দিয়েছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতা প্রমাণ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালে তিনি একদিনও বেঁচে থাকতে পারবেন না। বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা জীবের প্রাকৃতিক ধর্ম। শেখ হাসিনা জীব জগতের প্রাকৃতিক আইন লঙ্ঘন করবেন কেন? অবস্থা বিচার করে আমি আফ্রিকান প্রবাদ স্মরণ করে বলছি, ২০০৪ সালে  বিএনপির হঠকারী তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের মসনদকে চিরস্থায়ী দখলে নেওয়ার অর্বাচীন স্বপ্ন দেখেছিল এবং সেটি বাস্তবায়নের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের চারপাশ বন্ধ করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল। চিরকাল ক্ষমতায় থাকার লোভে রাজনীতির আঙ্গিনার চারপাশ বন্ধ করে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে শত্রুর মরণ কামড়ে পরাজিত হয়েছে। শেখ হাসিনা এখন জেতার জন্য নয় বরং জানে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন এ সত্য বিএনপিকে মানতে হবে। বর্তমান সময়ে যারা বিএনপিকে ভালো রাজনীতি করার সৎ পরামর্শ দেন আমি তাদের আন্তরিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলছি না। আমি বিনয়ের সঙ্গে তাদের অনুরোধ করব তারা যেন ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে উহ্য রেখে বিএনপিতে শুদ্ধ রাজনীতি চর্চা করার স্বপ্ন না দেখেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। এ অপরাধের বিচার শেষে আদালত কী সিদ্ধান্ত দেবে সেটি আগাম বলা সম্ভব নয়। তবে বিএনপি যেন আদালতের রায়কে রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর স্বপ্ন না দেখে। আদালতের রায়ে বিএনপির নামিদামি কোনো নেতা ধরাশায়ী হলে বিএনপি কি বলতে পারবে আমাদের অমুক নেতা বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এমন কথা জনগণকে বলতে হলে বিএনপিকে আগে একটি কথা খোলাসা করে নিতে হবে। তাদের বলতে হবে, গ্রেনেড হামলা মামলার প্রকৃত আসামি জজ মিয়া যেটি তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের তদন্তের ফলাফল। বিএনপির মুরব্বিরা ভেবে দেখুন, এমন কথা কি আপনাদের পক্ষে বলা সম্ভব? যদি তা বলতে না পারেন তাহলে বর্তমান বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগে থেকেই সাহস করে সত্য বলুন। সেটাই জনগণের কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।

আফ্রিকার ইউরোবা গোত্রের প্রবাদ দিয়ে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানব। ইউরোবা গোত্রের প্রবাদে বলা হয়েছে, ‘একজন যুবক তার গোত্রকে অনেক কিছু শেখাতে পারে তবে সে তার মুরব্বিদের অভিজ্ঞতা শেখাতে পারে না।’ আপনারা যারা বিএনপির মুরব্বি তারা আপনাদের দলের যুবকদের কাছ থেকে হজমযোগ্য অনেক কিছু শিখতে থাকুন তাতে দেশবাসীর আপত্তি থাকবে না। বিনিময়ে আপনারা আপনাদের যুব নেতৃত্বকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসতে বলুন। অনভিজ্ঞ যুব নেতৃত্ব না জানলেও আপনারা জানেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ধারা পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের সঙ্গে মিলবে না।  বাংলাদেশের রাজনীতির অভিজ্ঞতা বলে, এ দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করে নেতা হওয়া যায় না। এ দেশের রাজনীতিককে রাজনীতি করেই নেতা হতে হয়।

     লেখক : কথাসাহিত্যিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর